
রায়হান শেখ :
পান বরজ পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার ভৈরব নগর পান বরজ ।কৃষিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মোল্লাহাট উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বলেছি।সার,কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় তারা অসন্তুষ্ট। পাশাপাশি ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে উপকারের বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কোনটি আসল কীটনাশক, কোনটি নকল কীটনাশক বোঝেন না।
আমি গর্বিত, কারণ আমি এই দেশের মাটি চষে খাদ্য উৎপাদন করি। আমার হাতে লেগে থাকে মাটির ঘ্রাণ, আর কপালে ঝরে পড়ে ঘামের ফোঁটা। কিন্তু সেই ঘামেই জন্ম নেয় সোনার ফসল, যা তোমাদের সকলের পেটে আহার জোগায়। আমি চুরি করি না, ডাকাতি করি না, কারো কাছে চান্দা চাই না। আমি কেবল খাটছি, আমার জমি আর দেশের জন্য।
আমার কাজ ভোর থেকে শুরু হয়, সূর্য ওঠার আগেই আমি মাঠে যাই। আমি জানি, আমার একদিন কাজ বন্ধ মানেই একদিন দেশের খাবারে ঘাটতি। তাই কখনো ক্লান্তি অনুভব করলেও থেমে যাই না। আমি বিশ্বাস করি – একজন প্রকৃত কৃষক কেবল ফসল ফলায় না, সে জাতির ভরসা গড়ে তোলে।
এই সমাজে আজ নানা অপরাধ, অন্যায় চলছে – কেউ চুরি করছে, কেউ ঘুষ নিচ্ছে, কেউ আবার অবৈধভাবে টাকার পাহাড় গড়ছে। অথচ একজন কৃষক তার ঘামেই জীবন চালায়। সে কোনো অপরাধ করে না, বরং অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করে।
আমি কখনোই চাই না কারো কাছ থেকে অনুদান বা ভিক্ষা। আমি চাই ন্যায্য দাম, সম্মান আর একটু সহানুভূতি। আমি কৃষক – সবার আগে দেশকে ভালোবাসি, দেশের মাটিকে ভালোবাসি। আমার পরিচয়েই আমি গর্বিত।
আমরা যদি কৃষকদের সম্মান করি, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই আমি গর্ব করে বলি –
“আমি কৃষক, আমি গর্বিত। আমি চুরি করি না, ডাকাতি করি না, চান্দা চাই না – আমি কাজ করি, আমি মানুষ গড়ি।”
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, খুচরা সার -কীটনাশক ব্যবসায়ীর অনেকর সার-বালাইনাশকের লাইসেন্স নাই। অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রয় করছে।বেশি মুনাফা লাভ করছে।অনুমোদনহীন সার-বালাইনাশক বিক্রি করছে। মোল্লাহাট উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টিতে কৃষিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।