
স্টাফ রিপোর্টার :
গাজীপুরের সফিপুরে (মডার্ন) হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মের পরপরই নবজাতক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মা তখনো হাসপাতালের বেডে, কিন্তু সন্তান নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রবাসে থাকা স্বামী শাকিবের অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পপি দীর্ঘদিন ধরে মামাতো ভাই আশিকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্ক ক্রমেই গভীর হলে পপির গর্ভে সন্তান আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রেমিক আশিক জন্ম নেয়া সন্তানকে নিজের বলে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান।
বিষয়টি যাতে গ্রামে জানাজানি না হয়, এজন্য পপির মা শারমিন ও তার বোন রুপা সন্তান প্রসব করানোর জন্য পপিকে নিয়ে আসেন সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে। সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর নবজাতককে মায়ের কোলে না দিয়ে, অভিযোগ অনুযায়ী, মাত্র ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। অভিযোগ রয়েছে—পপির খালা রুপা শিশুটিকে তুলে দেন এক ব্যক্তি, যার নাম সবুজ। নবজাতক নিয়ে চলে যাওয়া এই সবুজের পিতার নাম ও ঠিকানা এখনো অজ্ঞাত।
পপির বাড়ি রাজশাহীর তানোর থানার গোকুল গ্রামে। পিতা রাশেদ ও মাতা শারমিন বর্তমানে গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় বসবাস করছেন।
ঘটনার পর মডার্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সচেতন মহলের প্রশ্ন—হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার আগেই নবজাতক কীভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়? সিজারের পরপরই এমন ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই কি?
স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় শুধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই নয়, পপি, তার মা শারমিন ও খালা রুপা পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ—এটি শুধু একটি পরিবারের লজ্জাজনক ঘটনা নয়, বরং সমাজের জন্য একটি ভয়াবহ সতর্কবার্তা।
তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও নবজাতককে উদ্ধারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।