
মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে মিসকেস নং ৯৩৫/২৫ পেন্ডিং থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে বয়স্ক আসামিকে শিশু দেখিয়ে জাল জন্মসনদ দাখিলের মাধ্যমে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক ছানা এবং আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেফাউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের মো. রহমত আলী গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে আসামি পলাশ রানা (২৫) সহ চারজনকে সরকারি ভাতা সংক্রান্ত হিসাব হ্যাক করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। ওই ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় জিআর নং ৩২৩/২৫ মামলা (ধারা ৪০৬/৪২০/৪১৯/১৭০/৫১১/৩৪ দণ্ডবিধি) দায়ের হয় এবং আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে পলাশ রানা ও সুমন মিয়ার জামিনের জন্য জেলা জজ আদালতে মিসকেস নং ৯৩৫/২৫ দায়ের করা হলে শুনানির তারিখ ধার্য হয় ১২ আগস্ট ২০২৫। কিন্তু অভিযোগ অনুসারে, আইনজীবী শেফাউল ইসলাম আসামি পলাশ রানার বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করে জাল জন্মসনদ প্রস্তুত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আবেদন করেন এবং পিপি আবু বকর সিদ্দিক ছানার সহযোগিতায় বিচারকের কাছে তথ্য গোপন করেন।
এমনকি ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক কোর্টে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও জামিন মঞ্জুর দেখিয়ে আসামিকে কারাগার থেকে মুক্ত করে নেওয়া হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রহমত আলী অভিযোগ করেছেন, জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে অন্য আদালতে জামিন আবেদন করা বেআইনি এবং গুরুতর পেশাগত অসদাচরণ। তিনি অভিযুক্ত দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।