
মো: রিয়াজল ইসলাম-সিনিয়র রিপোর্টার :
২০২৫ সালের প্রজ্ঞাপনে প্রথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বলেন—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এখনও ততোটা উন্নত নয় বলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করান। ফলে শিক্ষার মান, যত্নশীল পরিবেশ এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতির কারণে সরকারি বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল ভালো হয়।
বাস্তবতা হলো—সরকারি বিদ্যালয় থেকে কিন্ডারগার্টেনে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
বক্তারা আরও বলেন—বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিলেও বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি এক ধরনের বৈষম্য। শিক্ষার সুযোগে সাম্যতা নিশ্চিত করতে হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমানভাবে বৃত্তির জন্য প্রতিযোগিতার সুযোগ দিতে হবে।
বক্তাদের প্রধান বক্তব্য:
সরকারি বিদ্যালয়ের মান উন্নত না হওয়ায় অভিভাবকরা কিন্ডারগার্টেনে সন্তান পাঠান।
সরকারি বিদ্যালয় থেকে কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক; এটি প্রত্যাহার করে সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা একযোগে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—প্রাথমিক শিক্ষায় মানোন্নয়ন করতে হবে এবং বৃত্তি পরীক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে কোনো শিশুই বৈষম্যের শিকার না হয়।