
সুমন খান :
মিরপুর বিআরটিএ অফিসের প্রাইভেট মালিকানা বদলি শাখায় এমন এক দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে, যা রীতিমতো বিস্ময়কর। এই শাখায় দুই দালাল সোহাগ ও সগির দীর্ঘদিন ধরে অফিস সহকারী মনোয়ার হোসেনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একটি ঘুষ ও অনিয়মের সাম্রাজ্য চালিয়ে আসছে।
সূত্র জানায়, মনোয়ার হোসেনের অফিস রুমটিই এখন হয়ে উঠেছে একপ্রকার দালালি হেডকোয়ার্টার। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়— অথচ দালাল সোহাগ ও সগির মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মিনিটের মধ্যেই “অভ্যন্তরীণ পথে” সব কাজ করিয়ে দিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত গ্রাহকরা এবং বিআরটিএ’র স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “দালালদের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে গেছে যে, অনেক সময় তারাই কাকে আগে কাজ দেওয়া হবে তা ঠিক করে দেয়। তাদের সঙ্গে এক ধরনের মৌন চুক্তিতে আছে কিছু কর্মকর্তা।
চাঞ্চল্যকর আরও অভিযোগ: ঘুষ না দিলে ফাইল “হারিয়ে যায়” দালালের না জানলে কাজ আটকে থাকে কর্মকর্তারাই দালালদের কাছেগ্রাহক পাঠান,জনগণের দাবি:
এই দালাল সিন্ডিকেট ভেঙে অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চলতেই থাকবে।এই দুর্নীতির দায় শুধুই কি দালালদের? নাকি প্রশাসনের ভেতরে আরও গভীর যোগসাজশ আছে? এখন সময় এসেছে পুরো চক্রটি উন্মোচনের।