
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফেনীর সন্তান আবদুল আউয়াল মিন্টু জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং ফেনীতে বিএনপির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচনের সময়কাল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা ও গত ১৯ বছরের দলীয় আন্দোলন প্রসঙ্গে বিস্তারিত মত প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, তিনি এখন সুস্থ আছেন, ইনশাআল্লাহ তিনি নির্বাচন করবেন।
ফেনীর নির্বাচন প্রসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করে মিন্টু বলেন, নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।
তিনি জানান, লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌথ বিবৃতির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি পরিবর্তিত হয়, তাহলে জানুয়ারিতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মিন্টু বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে। যদি আদালত কেয়ারটেকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের নির্দেশ দেন, তাহলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের রূপ ধারণ করবে। সংবিধান অনুযায়ী, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে—বিএনপি হঠাৎ করে নির্বাচন চায়—তা মিথ্যা। আমরা ২০০৬ সাল থেকেই নির্বাচন চেয়ে আসছি। গত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্যাতন, মামলা, গ্রেফতার—সবকিছু মোকাবিলা করে টিকে আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। আমরা সেই নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ বলেছি। বাস্তবতা হলো, ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ছিল না।
সরকারের জবাবদিহিতার অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে, তাহলে তারা কখনও ভালো কাজ করবে না। নির্বাচন হচ্ছে সেই পথ, যার মাধ্যমে জনগণ সরকার গঠন করে। আমরা চাই, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, যার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে।