
নিজস্ব প্রতিনিধি :
“২৫ শে জুলাই ২০২৪ একটি স্মরণীয় কালোরাত”। এই রাতে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার বাহিনী গুলি করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাসায় হামলা চালায়,কোনমতে পালিয়ে বেচেঁ যাই।
তবে ১০শ্রেনী পড়ুয়া আমার একমাত্র ছেলে জীবন বাজিরেখে আমাকে পালাতে সহায়তা করে,তাই হয়তো আজও বেচেঁ আছি কিন্তু ছেলের জীবন হুমকির মুখে পড়েছিল, পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য টানাহ্যাঁচড়া করেছিল। আমার স্ত্রী কোনমতে ছেলেকে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমি ঐ দিন খালি গায়ে,লুঙ্গি পরা,হাতে একটি গেন্জি,পায়ে জুতা নেই,হাতে টাকা নেই,গভীর রাতে কোনমতে সহযোদ্ধা জে এম আনিসুর রহমানের বাসা পর্যন্ত পৌছাইতে সক্ষম হই ,তাদের গ্যারেজে সিকিউরিটির রুমে পালিয়ে ছিলাম। রাতে পুলিশ এসে ঐ বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞাসা করেছে বিএনপির কেহ এখানে আছে কিনা, তারা পুলিশকে আস্বস্থ করেছিল যে বিএনপির লোকজন এমুহূর্তে বাসায় থাকতে পারেনা, তখন সহযোদ্ধা আনিস সাহেবও পালিয়ে অন্য বাসায় ছিল। সেই কালোরাতের বর্ণনা কিভাবে লিখব! মহান আল্লাহর ইচ্ছায় এখনও বেচেঁ আছি,এটাই শান্তি। আলহামদুলিল্লাহ।
তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতাকে ১৪/১৫ বছরে খুঁজে পাওয়া যায়নি,তারা এখন সম্মুখ সারির নেতা,কেহ কেহ বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছে।কেহ কেহ হয়তো দলীয় নমিনেশন নিয়ে সংসদ সদস্য হবেন।। ত্যাগীরা মূল্যায়িত হবে কিনা জানিনা।
সর্বশেষ আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক,খালেদা জিয়ার সৈনিক ও তারেক রহমানের বিশ্বত সৈনিক হিসাবে বিএনপির কর্মী হিসাবে সারা জীবন বেচেঁ থাকতে চাই।
মোঃ মোস্তফা কামাল
যুগ্ন-আহবায়ক
জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটি।