
সাইমন :
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন এনসিপি’র (ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি) স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। কারণ, ঘোষণা ছিল—আজ দুপুরের পর এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা একটি পথসভায় অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাত পর্যন্তও সেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়নি। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা কিশোরগঞ্জের একটি কর্মসূচি শেষে সরাসরি ময়মনসিংহে চলে যান। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।
সকাল থেকেই নান্দাইল বাজার, জাহাঙ্গীরপুর, শেরপুর রোড, গাঙ্গাইল ও কাইতকান্দা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শত শত কর্মী ছোট ছোট মিছিল করে সমবেত হতে থাকেন মূল সভাস্থলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। তরুণদের মাঝেও ছিল উৎসাহ, পোস্টার, ব্যানার ও দলীয় পতাকা নিয়ে চলছিল নানা স্লোগান। সকালের পর দুপুর গড়িয়েও যখন নেতারা উপস্থিত হননি, তখনও অনেকেই আশায় ছিলেন—বিকেলে বা সন্ধ্যায় সভা হবে।
তবে সন্ধ্যার পরে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নেতারা নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে নান্দাইলে না থেমে সরাসরি ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তখন ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় এনসিপি কর্মীদের মাঝে।
এনসিপির এক ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এলাকাবাসীও চেয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের এক নজর দেখতে। এত মানুষ আসার পরও যদি তারা নান্দাইলে থেমে দুই মিনিটের একটা বক্তব্য দিতেন, মানুষ খুশি হতো। এইভাবে ফিরে যাওয়া আমাদের জন্য লজ্জারও বিষয়।”
একজন সাধারণ দর্শনার্থী স্থানীয় কলেজছাত্র রফিক বলেন,
“আমরা খবর শুনে এসেছিলাম। নেতা আসবেন, কথা বলবেন, হয়তো কিছু আশার কথা শুনতে পাব। কিন্তু কিছুই হলো না।”
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা জানান, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা ছিল না। রাজনৈতিক দল চাইলে তারা সভা করতেই পারতেন।”
এ ঘটনায় এনসিপির স্থানীয় কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে দলীয় নেতারা জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে নান্দাইলে একটি বড় আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি অংশ নেবেন।
এখন দেখার বিষয়, হতাশ এই নেতাকর্মীদের মনোবল কীভাবে পুনরুদ্ধার করে এনসিপি, এবং তারা কীভাবে আগামী কর্মসূচিতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হয়।