
মনিরুজ্জামান মনির :
মৌলভীবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলোর প্রতিবাদে গত ২২ জুলাই কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, নজরুল ইসলাম নিয়মিত তাদের দিয়ে ব্যক্তিগত ও কলেজের ভারী কাজ করান, যা স্টাফদের দায়িত্ব। প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেওয়া, ব্যবহারিকে অকৃতকার্য করা এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজের ঘটনাও ঘটে বলে তারা অভিযোগ করে। এছাড়াও, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের সিট বাণিজ্য, প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা আত্মসাৎ, ভুয়া কাগজপত্রে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা থেকে ‘মসজিদ উন্নয়ন’ নামে জোরপূর্বক চাঁদা নেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সহকর্মীদের সাথেও অসদাচরণ করে প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য কায়েম করেছেন বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, কলেজ প্রশাসন বারবার বিষয়টি জানলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এরই প্রেক্ষাপটে তার অবিলম্বে অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলামের বক্তব্য, “আমি কোনো ছাত্রকে কাজ করাইনি। আমার বদলি হয়ে গেছে, এই সপ্তাহেই চলে যাব।” তবে তার এই বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তারা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কলেজ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। ঘটনাটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও viral হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।