
মোঃ গোলাম রাব্বানী-স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির ৪ বার রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু সেটা বর্তমানে অন্য দলের নাই। গত বছরের ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের জন্য আমরা একসাথে আন্দোলন করেছি। যাতে স্বৈরাচার পতনের পর আমরা সবাই মিলে একটা প্রতিযোগিতা মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
বিএনপি বরাবরই চেয়েছে একটি সুষ্ঠ, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে তামাশা করলে বিএনপি ছাড় দিবে না৷ কয়েকদিন পূর্বে গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে সেটা আমাদের গনঅভ্যুত্থানের প্রতি আঘাত করা হয়েছে যেটা কখনোই বিএনপি সমর্থন করে না। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের বিকল্প নাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের ভোটে বিএনপি সরকারের দায়িত্ব নিলে রূপসা উপজেলাকে চাঁদাবাজ,সন্ত্রাস,দূর্নীতি মুক্ত করে আদর্শিক মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলবো।
তিনি আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশে ফলজ, বনজ এবং ঔষধী বৃক্ষের চারা রোপন অভিযান শুরু হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেক পরিবারকে তার সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসতে হয়। তাই নদী ভাঙ্গন রোধে বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নাই।
তিনি স্থানীয় জনগনের উদ্দেশ্য বলেন আপনারা যদি নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন আমি যতদ্রুত সম্ভব সেটার ব্যবস্থা করবো। এছাড়া এই এলাকায় সুপেয় পানির অভাব রয়েছে আমি সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবো।
চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে দলের কোনো পরিচয় নেই, তাদের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। তাই জনগনকে এসব চাঁদাবাজ, লুটবাজ এবং সন্ত্রাসীদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। আমরা জনগনের সেবক হতে চাই, বিএনপির কাছে সকল মানুষ সমান।
রবিবার ২০ জুলাই সকালে রূপসা উপজেলার রহিমনগর এলাকায় খুলনা জেলা কৃষকদল আয়োজিত গনঅভ্যুত্থানে জাতীয় ঐক্য ও গনতান্ত্রিক অভিযাত্রা সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লানে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে বৃক্ষের চারা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু,মোল্যা খায়রুল ইসলাম, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, এনামুল হক সজল, রূপসা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা সাইফুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আতাউর রহমান রুনু, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক।
খুলনা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোল্লা কবীর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ শেখ এর পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান, আরিফুর রহমান আরিফ, আসাফুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, বিকাশ মিত্র, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মাহমুদুল আলম লোটাস,মহিলাদল নেত্রী শাহানাজ ইসলাম, বিএনপি নেতা মোল্যা আনারুল ইসলাম,মহিউদ্দিন শেখ, ইসমাইল হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি,হুমায়ূন কবীর, মহিউদ্দিন মিন্টু, খান আনোয়ার হোসেন, দিদারুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, মিকাইল বিশ্বাস, মিসকাত আলী, সৈয়দ নিয়ামত আলী, আমিরুল ইসলাম তারেক, শফিকুল আলম বাচ্চু, কবির শেখ, শাহ আলম ভূইয়া, সোহাগ শিকদার, যুবদল নেতা মুন্না সরদার,যুব মহিলা দল নেত্রী শারমিন আক্তার আখি, নয়ন, জাহিদুর রহমান মিন্টু, সোহাগ শিকদার, মুরশিদুর রহমান লিটন, রাজু দাস,শামীম জমাদ্দার, বাবুল শেখ,কামরুজ্জামান নান্টু,রনি লস্কর, জামিল সরদার,হরিদাস বাছাড়, খায়রুল আলম খোকন, খায়ের লস্কর, সাইফুর ইসলাম রিমন, মো: গোলাম রব্বানী, রসুল মোল্লা, সোহাগ হাওলাদার, ইকরাম, শরিফ মোল্যা, মোঃ কামরুল ইসলাম, রেজাউল করিম ছোট,ইলিয়াস হালদার,হাফিজুর রহমান, বিধান পোদ্দার, সেলিম সরদার, ওমর ফারুক, সোহাগ শেখ, ওলিয়ার রহমান, হাফিজুর রহমান, ইসরাইল বাবু প্রমুখ।