
স্টাফ রিপোর্টার :
মোঃ মনির সরদার (৪৫) পিতা মৃত খোরশেদ সরদার, কালকিনি, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে কালকিনি থানার তাঁতি লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে নানাবিধ অপকর্মের সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
এমন কোন অপকর্ম নাই যে তিনি করতেন না মাদক ব্যবসা মানুষের সাথে প্রতারণা, এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই তার ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। ভুক্তভোগীরা তার কাছ থেকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা মামলা করেছেন। কিন্তু তিনি টাকার গরমে সেই মামলাগুলো থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কথিত আছে যে বগুড়ায় একটা টিম গঠন করে তিনি ফোনে কথা বলে জিনের বাদশার পরিচয় দিয়ে হাজার হাজার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন।
গভীর রাতে জিনের বাদশার পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার নিজের এলাকায় তার বিরুদ্ধে লোকজন কথা বলতে গেলে তাদেরকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দেয়, প্রকাশ্য দাও,চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। তার জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় জ্বীনের বাদশা সেজে বিভিন্ন লোকের কাছে প্রতারণা করার সময় তারা তার নামে মামলাও করেছে কিন্তু প্রতারক ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ করা সুবাদে বাহা উদ্দিন নাসিম, আব্দুস সোবান গোলাপ, ও মহিলা দলের এমপি তাহমিনা তাকে শেল্টার দিত বলে জানা যায়। কালকিনি এলাকার অনেক লোক এখনো তার জন্য আতঙ্কে বসবাস করছে। এলাকায় এখন বিএনপি বা সমমনা দলের সাথে সখ্যতা তৈরি করে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করছে বলে জানা যায়।
অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই এলাকাবাসী। এই আওয়ামী লীগের দোসর এলাকায় একটা আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে, অবিলম্বে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না গেলে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন।