
বদিউজ্জামান-জলঢাকা :
নীলফামারীর জলঢাকায় এক তরুণী সম্ভাব্য ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন স্থানীয় একজন সচেতন ব্যক্তির তাৎক্ষণিক সাহসী উদ্যোগে। রবিবার উপজেলার ক্যানেলেরপাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণীর নাম ইশরাত জাহান । তিনি তার বন্ধু পলাশের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। জানা যায়, পলাশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ইশরাত জাহান মুসলিম ধর্মের অনুসারী। তারা ক্যানেলপাড় এলাকায় ঘুরতে গেলে স্থানীয় কিছু বখাটে তাদের আটকিয়ে রাখে।তাদের থেকে অর্থ দাবি করে একপর্যায়ে ইসরাতকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তারা।
এ সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু। মিঠুর বাসা উপজেলা অনির্বান স্কুলের পিছনে। তার উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মিঠু মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার নিজ বাসায় নিয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাকে তার স্ত্রীর কাছে রাখেন।
পরদিন মেয়েটিকে অক্ষত অবস্থায় তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়েটির বাবা একজন জুতা ব্যবসায়ী এবং এ ঘটনার জন্য মেয়ের বন্ধু পলাশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
তবে ঘটনার পর থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিঠুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা মিঠুর সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে মিঠু বলেন, “মানবতার দিক বিবেচনায় আমি যা করেছি, তা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব মনে করেই করেছি। এখন আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।