
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এ পর্যন্ত ৯টি দেশে ৪৮ হাজার ৮০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার হতে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ২৯ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৩৬৭ জন ভোটার হয়েছেন। আর স্মার্টকার্ড হাতে পেয়েছেন ১১ হাজার ২৮৭ জন।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান এনআইডি ডিজি। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ১৬টি মিশন অফিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ৪০টি দেশে এনআইডি সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
হুমায়ুন কবীর আরও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে আরও পাঁচ দেশে ভোটার নিবন্ধন শুরু হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান, মালদ্বীপে এনআইডি সেবা শুরু করার অনুমোদন দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যে ৯টি দেশের ১৬টি মিশন অফিসে কাজ চলমান রয়েছে। দশম দেশ হিসেবে চলতি জুলাই মাসে কাজ শুরু হবে। মধ্য জুলাইয়ে শুরু করার কথা থাকলেও স্থানীয় কারিগরি সুবিধার (পাবলিক আইপি পেতে বিলম্ব) শেষে শিগগির চালু হবে।
এনআইডি ডিজি বলেন, ‘নতুন পাঁচটি দেশে নিবন্ধন শুরুর প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ চলছে। এর জন্য ইক্যুপমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে, জনবল ও প্রয়োজনীয় দক্ষ লোককে প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতির ইনট্রিগেশনের বিষয়গুলো রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের পাশাপাশি নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনসহ যেখানে বাংলাদেশের অফিস রয়েছে, সেগুলোতে চালু করার সম্মতি মিলেছে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরুর সময়ই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়ার দাবি ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা পেরিয়ে তৎকালীন কমিশন ২০১৯ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনলাইন নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এরপর কোভিড মহামারিতে সেই উদ্যোগ থমকে যায়। পরবর্তীতে আবার ২০২৩ সালের জুলাইয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর আবার এই কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ এম এম নাসির উদ্দিনের কমিশন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে।