
স্টাফ রিপোর্টার :
১৩ জুলাই ২০২৫ ইং বিকেলে আনুমানিক ৪ টায় জলঢাকা উপজেলার ২ নং ওয়ার্ড মাথাভাঙ্গার শ্রী পল্লব কুমারের ছেলে পলাশ কুমার রায় তার মুসলিম বান্ধবী মোছা: রুম্মী আখতার পিতা: এমদাদুল হক পলাশ সাং মাথাভাংগা,জলঢাকা নীলফামারীর সাথে কুশলাদি বিনিময়ের সময় তাহাদের কে অবৈধ সম্পর্ক সন্দেহে জলঢাকা তিস্তা ক্যানেল পাশ থেকে ধরে উপজেলা পরিষদের লালদিঘিরপাড় নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ছেলের পিতা:পল্লব জানান মনিরুজ্জামান মিঠু ছেলে-মেয়ে উভয়কে অস্ত্রের মুখে রেখে ভয় দেখিয়ে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় অজানা কোন স্হানে। এমনটাই অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগীরা।
বিকাল থেকে ছেলে-মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মনিরুজ্জামান মিঠু পিতা : রফিকুল ইসলাম ভোম্বল (৩৫) নগদ টাকা দাবি করে বলে জানা যায়। আরো জানা যায় যে সুদারু মনিরুজ্জামান মিঠু জামাতের কর্মী হওয়ায়, উক্ত ২ নং ওয়ার্ডের জামাতের সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হক ও জামাতের সেক্রেটারি শাহিনুর রহমান শাহিন ঘটনাটি জানার পর ঘটনা স্থলে যান এবং মিঠুকে কে অনুরোধ করেও ছেলে মেয়ে উভয়কে উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানা যায়।
জামাত নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে মিঠুর প্রধান সহকারি সন্ত্রাসী আতাউর রহমান বাদল কিছু টাকার বিনিময়ে মধ্যস্হতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মিঠু বাহিনী নগদ টাকা ছাড়া কোনভাবেই ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুলাই জলঢাকা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের পাইপ লুটতরাজ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে এই সঙ্ঘবদ্ধ মিঠু ও বাদল বাহিনী সরাসরি জড়িত থাকার পরও প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গতকাল ১৩ জুলাই পুনরায় সন্ত্রাসীরা কিডন্যাপের মত ঘটনা ঘটায় বলে এলাকাবাসী উদ্বেগ জানিয়েছে। ছেলের পিতা পল্লব কুমার রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিট জলঢাকা থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করার চেষ্টা করে বিভিন্ন কারনে অভিযোগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।ভোর ৫টার
দিকে মিঠু নগদ ৩০০০০/= হাজার টাকা নিয়ে ছেলেকে তার পিতার হাতে দেয় কিন্তু এখনো মেয়ে তাদের জিম্মায় রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিবেদক জানান যে গত ৩ জুলাই মিঠু ও বাদল বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন সংবাদকর্মী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি প্রদান করে আসিতেছে । কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই বলে জানিয়েছেন।