
মে: গোলাম রব্বানী-স্টাফ রিপোর্টার :
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান হত্যা মামলায় সজল শেখ (২৮) নামের এক চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সজল শেখ মাহবুবুর রহমান হত্যা সম্পর্কে গুরুত্বর্পূণ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় সজল শেখকে আটক করা হয়। আটক সজল নগরীর মহশ্বেরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার সাহেব আলী শেখের ছেলে।
ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সজল স্বীকার করেছেন যে, তিনি চরমপন্থী দলের একজন সক্রিয় সদস্য। কিলিং মিশনে সজল সরাসরি অংশ না নিলেও মাহবুবের অবস্থান সর্ম্পকে খুনিদের সব তথ্য দেন সজল। তার তথ্যের ওপর নির্ভর করে দুর্বৃত্তরা মাহবুবকে গুলি এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনার সময় সজল আশপাশে থেকে নজরদারি করেন।
ওসি জানান, ঘটনার দিন শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে যুবদল নেতা মাহবুবের সব খবরাখবর কিলারদের দিতে থাকেন সজল। এ ছাড়া হত্যা মিশন সফল করার আগে কিলাররা মাহবুবের বাড়ির সামনে থাকা একটি চায়ের দোকানে কিছু সময় বসে আড্ডাও দেন।
ওসি আরও বলেন, মাহবুব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সজল অনেক গুরুত্বর্পূণ তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার সজল-কে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এদিকে, গ্রেপ্তার সজল শুধু যুবদল নেতা মাহবুব হত্যাকাণ্ডসহ খুলনাঞ্চলের চরমপন্থী সংগঠনেরও অনেক তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাহবুব হত্যার ব্যাপারে সজল সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। হত্যাকাণ্ডের সময় নিজে অংশ না নিলেও খুব কাছাকাছি থেকে দুর্বৃত্তদের খবরাখবর আদানপ্রদান করেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সজল গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে মাহবুব হত্যার ক্লু খুব দ্রুতই উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়াস্থ মাহবুবের নিজ বাড়ির সামনে তাকে হত্যা করে ৩ খুনি। হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসে। তাদের মধ্যে একজন হেলমেট পরিহিত এবং অপর দুই জন হেলমেট বিহীন ছিল। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গুলি করে হত্যা করা হলেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে তার দুই পায়ের রগ কাটা হয়। পরে খুমেক হাসপাতাল থেকে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরদিন শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আ. করিম মোল্লা।