
মুক্তির রক্তপ্লাবন
================
মুসা খান
এ জুলাই-আগস্ট হাজার বছরের সংগ্রামী বাংলার
উজ্জীবিত উজ্জ্বল ইতিহাস–
মানচিত্র রক্ষা, স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের
আবাবিলের রক্তপ্লাবন মাস।
যে মাটিতে শিশু-কিশোর, যুব-তরুণ
ঢেলে দেয় তাজা রক্ত,
নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, ছাত্র-জনতা, নাবালেগ-বালেগ
নির্ভয়ে দূর্গ গড়ে শক্ত;
সেখানে কোন ঔপনিবেশিক প্রেতাত্মারা কি পাকাপোক্ত হতে পারে?
হাজার বছরের ইতিহাসে
দেশ-জাতির শত্রুরা এ মাটি ছাড়ে।
এ আমার ‘নতুন স্বাধীনতা’,আমার ‘নতুন বাংলাদেশ’,
আগ্রাসন আর ফ্যাসিবাদের শেষকৃত্য- নিকেশ!
বুদ্ধের দিব্যের মশাল চণ্ডাল, ভূমিসন্তান
মূলনিবাসী কথিত অসূর-অচ্ছুৎ-যবন
জনপদের এ মাটি মেনে নেয় না
উপনিবেশ, পরাধীনতা ও কোন ধরণের আগ্রাসন।
এ মাটি-ভাষা-জনপদ পরিত্রাত-বিজিত
মহান বখতিয়ার খিলজির,
এ মাটিতে শুয়ে আছেন শাহ জালাল, খান জাহান আলী, ঈসা খাঁ, তিতুমীর,
শুয়ে আছেন ভাসানী,
শেরে বাংলা, জিয়া,
আরো কত শত শহীদ-গাজি
বীরত্ব শাণিয়া।
এ জাতি দূর্যোগ এলে প্রতিরোধ করে,
দূরাবস্থা থেকে আবার জাগে,
পরিশেষে বিজয়মাল্য
এ জাতিরই ললাট-ভাগে।
এ দেশেতে সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা,
নিরব রাতে– তাওহিদের ঘোষণা;
ঈমানদীপ্ত শান্তির শপথ-
ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধ ও হকের প্রেষণা।
আজ চব্বিশের পণ—
কল্যাণরাষ্ট্রের বুনিয়াদ;
নয়কো কারো তাবেদারী, আগ্রাসন,
স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ।
ভ্রাতৃপ্রতিম, বন্ধুপ্রতিম, প্রতিবেশী
বিশ্বের শত্রু-মিত্র দেশ যতো
বিশ্বভবে আত্মমর্যাদায় সবার প্রতি
মোরা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ।