
শরিফুল ইসলাম :
দেশপ্রেম কি অপরাধ? প্রবাসে থেকে দেশের জন্য কাজ করাও কি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে? এমনই এক দুঃখজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন এক প্রবাসফেরত ক্ষুদ্র সাংবাদিক, যিনি স্বৈরশাসনকালীন সময়েও থেমে যাননি দেশের কথা বলায়। বরং সেই সময়েই বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের কথা বলেছেন, ভোটের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সঠিক বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ আজ তাঁর সেই লাইভ ভিডিও ঘিরেই চলছে অপপ্রচার, মিথ্যাচার আর মানহানিকর আচরণ।
তিনি বলেন, “আমি যখন বিদেশে ছিলাম, তখন দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতেই প্রবাসে যেতে বাধ্য হই। কারণ, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের সাবেক এমপি সোহেল হাজারীর স্বৈরাচারী ভূমিকার কারণে দেশে থাকা ছিল দুঃসহ। কিন্তু প্রবাসে থেকেও আমি দেশকে ভুলিনি। সেই সময় লাইভে এসে বলেছিলাম, ভোট দিন যিনি জনগণের পক্ষে—লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে। সর্বশেষ বলেছি, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!’এই কি আমার অপরাধ?
তিনি আরও বলেন, আমি একজন প্রবাসী শ্রমিক ছিলাম। কষ্ট করে অর্জিত অর্থ দেশের রেমিটেন্স হিসেবে পাঠিয়েছি। সেটাও কি অপরাধ? আমার ভিডিও যারা কাটাকাটি করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের বলছি—ভিডিওর ভেতরে দেখুন, সেটি বাংলাদেশের মাটির ভিডিও না।
৫ জুলাইয়ের এক প্রতিবাদী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছেন এই সাংবাদিক। তিনি বলেন, “৫ জুলাইয়ের পর থেকে অনেকেই পথ ও পদবী পাল্টালেও আমি এখনও আমার পেশা—সাংবাদিকতা—নিয়েই আছি।”
সবশেষে তিনি একটি মানবিক ও যুক্তিসঙ্গত অনুরোধ জানিয়েছেন সবার প্রতি:
এসব অপপ্রচার করে লাভ নাই। যার যার চিন্তা করেন, তাতেই মঙ্গল। আমি একজন ক্ষুদ্র সাংবাদিক, দেশপ্রেমই আমার শক্তি। দয়া করে সেটিকে অপরাধ বানাবেন না।
একজন নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি ভালোবাসা কখনোই অপরাধ হতে পারে না। এ ধরনের অপপ্রচার শুধু ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতাকেও আঘাত করে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব ভেদাভেদ ভুলে সত্য ও মানবতার পক্ষে দাঁড়াবে সমাজ।
একজন নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি ভালোবাসা কখনোই অপরাধ হতে পারে না। এ ধরনের অপপ্রচার শুধু ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতাকেও আঘাত করে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব ভেদাভেদ ভুলে সত্য ও মানবতার পক্ষে দাঁড়াবে সমাজ।