
সাইমন :
কৃষকের হাতে বীজ তুলে দেওয়ায় চাষাবাদে বিলম্ব হচ্ছে না বলে দৈনিক জন জাগরণকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তিনটি বীজ আমদানিকারক কোম্পানির মাধ্যমে আনা এসব বীজ ইতিমধ্যে দেশের ৩৭টি উপজেলায় বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১৩টি উপজেলাতেও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। সব বীজ দেশে পৌঁছেছে এবং কাস্টমস ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা সরাসরি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবছর নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে ওঠে বেশ আলোচনা। দামবৃদ্ধি ও প্রণোদনার পেঁয়াজের বীজে অনিয়মের অভিযোগ থাকে প্রায়ই। গত বছরও প্রণোদনার পেঁয়াজে চারা না গজানোর ঘটনা ঘটেছিল। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা উন্নত বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়, যা বাম্পার ফলনের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে।
চলতি বছরও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গ্রীষ্মকালীন চাষে প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি।
এর মধ্যে রয়েছে—বীজ সরবরাহ বাড়ানো, চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, হিমাগার নির্মাণ, বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন এবং গ্রীষ্মকালীন উৎপাদনে গবেষণা জোরদার করা। কৃষক এবার সঠিক সময়ে পেঁয়াজের বীজ হাতে পেয়েছেন। এতে বীজ নিয়ে হাহাকার কিংবা কোনো অনিয়মের আশঙ্কা নেই। উৎপাদিত পেয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণে সারাদেশে চার হাজার এয়ার-ফ্লো মেশিন বসানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খান জানান, গ্রীষ্মকালীন চাষ বাড়াতে পারলে দেশে পেঁয়াজের চাহিদার বড় একটি অংশ জোগান দেওয়া সম্ভব। তখন বাজারে দামও তুলনামূলক বেশি থাকে, ফলে কৃষক লাভবান হবেন।