
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৩০ জুন রাত আনুমানিক ১১. ৩০ মিনিটে জলঢাকা উপজেলার জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার আর সি সি পাইপ লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের হাতে ধরা পরে,প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ৫ টি ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ পথচারী বাধা প্রদান করে। এ সময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও লুটতরাজ কারীদের অস্ত্রের মুখে পথচারীরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
তার কিছুক্ষণের মধ্যে জলঢাকা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্হলে যান এবং দুটি ভ্যানের মালামাল আটকাতে সম্মত হোন এবং অবশিষ্ট তিন ভ্যান মালামাল প্রায় তিন ঘন্টা অভিযান চালিয়ে লুটতরাজ কারী মিঠুর প্রধান সহকারী আতাউর রহমান বাদল এর বাসার পুকুরে থেকে উদ্ধার করেন জলঢাকা থানা পুলিশ। জনমনে সংশয় দেখা দিলে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজ্জাক্কিন বিষয় টি তদন্ত করে জানতে পারেন যে উক্ত মালামাল গুলি মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের, যাহা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে রক্ষিত ছিল।
উক্ত ছিনতাইকারীরা কামাল এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার জুলফিকার আলীকে জিম্মি করে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে লুটতারাজ কারীরা নিজে ভ্যান নিয়ে এসে মালামাল উঠে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিশেষএকটি মহল চেষ্টা করতেছে।
উল্লেখ্য যে ঠিকাদার মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর কামাল হোসেন নিজেদের নিরাপত্তার কারণে অভিযোগ এবং থানায় এজার করতে ভয় পাচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে উক্ত লুটত্যারাজ কারীরা হলেন (১)মো; মনিরুজ্জামান মিঠু, পিতা রফিকুল ইসলাম ভোম্বল,সাং মাথাভাংগা জলঢাকা।(২) মো: আতাউর রহমান বাদল, পিতা জোনাব আলী।
বগুলা গাড়ি জলঢাকা । এই দুইজন বাদে এই লুটতারাজের সাথে আরো অনেক অজ্ঞাত আসামী জড়িত । এই সরকারি মালামাল লুটতরাসের কারণে জলঢাকাই বর্তমান থমথন পরিস্থিতি বিরাজ করছে । তাই জলঢাকার মানুষ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিচার দাবি করছে । যাতে ভবিষ্যতে আর এইরকম কোন সরকারি অফিসে লুটতারাজ করতে না পারে ।