
মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫ নং বল্লম ঝাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর বেকাতারি গ্রামের ঘাঘট নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি সম্প্রতি ভেঙে পড়েছে। এতে ওই এলাকার অন্তত কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩/৪ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।
সাঁকোটি গত সপ্তাহে নদীর পানির প্রবল স্রোত ও কচুরিপানার চাপে টিকে থাকতে না পেরে ভেঙে পড়ে। এটি ছিল এলাকাবাসীর একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম।
এক স্কুলছাত্রী জানায়, “স্কুলে যেতে এখন অনেক কষ্ট হয়। আগে যেখানে ১০ মিনিট লাগতো, এখন আধাঘণ্টা আগে বের হতে হয়। অনেক সময় পানিতে পড়ে গিয়ে গা ভিজে যায়, বই-খাতাও ভিজে যায়।”
অন্যদিকে, এলাকাবাসী বলেন, “রোগী নিয়া হাসপাতালে যাইতে অনেক কষ্ট হইতেছে। হেঁটে গেলে সময় বেশি লাগে, আবার নৌকা সবসময় পাই না।”
দীর্ঘদিন ধরে পাকা সেতুর অভাবে মানুষ কাঠের এই সাঁকোর উপরই নির্ভর করছিলেন। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ঝুঁকির মুখে পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
গ্রামবাসীরা আরো বলেন অত্র এলাকার জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে একাধিকবার বলার সত্বেও তারা ভাঙ্গা ব্রিজটির কোনো খোঁজ খবর নিতে আসে নাই।
মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে এলাকাবাসীর আকুল আবেদন, ঘাঘট নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে শুধু যাতায়াত ব্যবস্থায় নয়, শিক্ষা,কৃষি ও অর্থনীতিতেও উন্নতি আসবে।
এখন দেখার বিষয় কর্তৃপক্ষ কত দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসবে।
স্থানীয়দের দাবি, তিস্তার এই শাখা নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে শুধু যাতায়াত ব্যবস্থাই নয়, শিক্ষা, কৃষি ও অর্থনীতিতেও উন্নতি আসবে।
এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসে।