
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নপত্র তছনছ কাণ্ডে থানা পুলিশের দায়িত্ব অবহেলাতে ওসি আবদুল মালেককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬ পুলিশকে প্রত্যাহার করলো জেলা পুলিশ।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এ ঘটনায় নতুন ভাবে আরও ৩জন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এসআই জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবালকে প্রত্যাহার করা হয়।
তারা প্রত্যেকেই বর্তমানে জেলা পুলিশ লাইনে রয়েছেন।নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে থানার হাজতে বিভিন্ন অপরাধের আসামি থাকলে হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত মো. সাগর হোসেন (৩০) নামের একজন আসামিকে নারী হাজতে এক হাতে হাতকড়া অবস্থায় রাখা হয়। তিনি ওই রাতে হাজতের ভেতরে বসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র রাখা একটি ট্রাংকের সিলগালা নখ দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে সেখানে রাখা চাবি দিয়ে ট্রাংকের তালা খুলে সেখানে রাখা প্রশ্নপত্রের একটি সেট বের করেন। তারমধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছিড়ে ফেলেন এবং বাকি প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন।
উক্ত ঘটনার ফলে আসামিকে আরো একটি মামলা দায়ের শেষে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) বিকালে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম প্রশ্নপত্র তছনছ ঘটনায় ধামইরহাট থানা পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তিনি প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের ৩০৫ নম্বর কোডটি বাতিল করা হয়েছে, নতুন করে আরো একটি প্রশ্ন পত্রের সেট তৈরী করা হলে সেই সেট প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইতিহাস বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।