
এ বি অপু :
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সরাসরি বিমান হামলা চালিয়েছে। ফোরদো পারমাণবিক সাইটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে লক্ষ্যভেদী বোমা বর্ষণের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক জরুরি ভাষণে বলেছেন, “ইরান শান্তির পথ বেছে না নিলে আগামী হামলাগুলো হবে আরও ভয়াবহ। আমাদের লক্ষ্য শান্তি, কিন্তু প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতেও আমরা প্রস্তুত।”
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। আমরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি।”
তেল আবিব ও জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। পরিস্থিতি ঘিরে সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসির রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যান্থনি জারচার মন্তব্য করেছেন, “এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের জন্য এক দুঃসাহসিক রাজনৈতিক ঝুঁকি। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দর্শনের পেছনে থাকা ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে এর প্রভাব গভীর হতে পারে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এই উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
-সূত্র: BBC News