
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকই নেতিবাচক। এই পরিস্থিতিতে ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ বৈশ্বিক অস্থিরতা তৈরি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
যে তিন খাতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে:
জানা গেছে, সরাসরি ইরান বা ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত হলেও যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে তিনটি খাতে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে।
যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, যা বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ ও মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেবে।
বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত। অঞ্চলটি অস্থির হলে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে। এই প্রণালি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন আমদানি পণ্য বাংলাদেশে আসে। এটি বন্ধ হলে আমদানিতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল শুক্রবার রাতে ইরানে আকস্মিক হামলা চালায়। জবাবে ইরান পালটা হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে। এই হরমুজ প্রণালি একটি সরু জলপথ, যা পশ্চিমের পারস্য উপসাগরকে পূর্বে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এই পথটি ইরানের নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিকভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ। এছাড়া এটি বন্ধ হলে সব ধরনের আমদানিতে প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট আমদানির প্রায় ৩০ শতাংশ তেল, খাদ্য ও সারের মতো পণ্যে, যেগুলোর একটি বড় অংশ হরমুজ প্রণালির পথেই আসে।