
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ১০ মাসে সারা দেশে ১২৩ খুন হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৭ জুন- এই ১০ মাসে এসব খুন হয় এবং বিএনপি নেতাদের হাতেই তারা নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন নেতা। যার সম্পূর্ণ গুজব ও অপপ্রচার । বাংলা আউটলুক সংবাদ মাধ্যমের এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । যেখানে এনসিপির দাবির সাথে এর কোনো সত্যতা মিলেনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একজন গবেষক ও সাংবাদিকের সহায়তায় করা এই বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে নতুন তথ্য।
যেখানে বিবিসি বাংলাসহ দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১২৩টি হত্যাকাণ্ডের খবরের মধ্যে অন্তত ২০টি খবর বিভ্রান্তিকর (মিসলিড) তথ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। ১৩টি সংবাদে তথ্যগত ভুল ছিল।
গত ১০ মাসে ১২৩ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্তত ২১টি ঘটনা বিতর্কিতভাবে বিএনপির নাম এসেছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত খবরগুলোতে দেখা গেছে দলীয় পরিচয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আধিপত্য বিস্তার, লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বের কারণে ওইসব ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরাসরি রাজনৈতিক স্বার্থে বা দলীয় কারণে কিংবা দলীয় পরিচয়ে খুন করেছেন এমন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়নি। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় উঠে এসেছে।
যেভাবে হত্যার ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিহতের ঘটনাগুলোর মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষেই অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি সংশ্লিষ্ট ঘটনায় এক পক্ষের হামলায় আরেকপক্ষের লোকজন নিহত হয়।