
বদিউজ্জামান-জলঢাকা প্রতিনিধি:
তিস্তা ব্যারাজে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিনোদন প্রেমী মানুষের ভিড় বিভিন্ন স্থান থেকে কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ অটোরিকশায় আবার কেউ মাইক্রোবাসে ও সিএনজিতে করে আসছেন বিনোদন প্রেমীরা, তিস্তা পাড়ে চলছে ঈদুল আযহার আনন্দ উল্লাস।
তিস্তাপাড়ে ঈদ বিনোদনে মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন, সেখানে ছুটে চলছে পালতোলা নৌকা সহ স্পিডবোট। নদীর ঠান্ডা পানিতে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষিত। এতেই দেশের সর্ববৃহৎ ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজে বিনোদন প্রেমী মানুষের ভরপুর, এ যেন সমুদ্রের তীরের সৈকতের ছোঁয়া।
রীতিমত সেখানে গ্রামীন মেলা বসেছে। নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি ও খাবারের দোকান। ঈদের দিন শনিবার ৭ ই, জুন সরেজমিনে গেলে দেখা যায় মানুষজনকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া এলাকা। পর্যটকদের উৎসাহিত করতে ডালিয়া এলাকায় তিস্তার চলছে স্পিটবোট। এগুলো দ্রুত বেগে এ পাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছে পর্যটকদের নিয়ে। স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় তিস্তার ঢেউ খেলানো বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। নদীর পানি বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার কোলে। ছিটকে আসা তিস্তার পানিতে আনন্দে মেতে উঠছে বিনোদন প্রেমীরা।
ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ঈদ আনন্দে প্রতি বছর এই তিস্তা ব্যারেজে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। বছরে দুই দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে এই ব্যারেজে ঘুরতে আসি। অনেক আনন্দ উপভোগ করি। এই জায়গাটি পর্যটন এলাকা ঘোষণার দাবি জানাই। দর্শনার্থী শাকিব বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তিস্তা ব্যারেজে এসেছি। তিস্তা ব্যারেজে স্পিডবোটে উঠে আরও আনন্দ লাগছে।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী শেফালী আক্তার বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নানান উৎসবে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ছুটে আসি। ঈদে এখানে এসে অনেক মজা করেছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটাই আমাদের কাছে প্রকৃতির বড় বিনোদনের আস্থা। তিস্তায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আখি আক্তার বলেন, প্রতি বছর ঈদে এবং নানা উৎসবে আমরা পরিবার নিয়ে তিস্তা এলাকায় আসি। এখানে এসে আমরা অনেক মজা করেছি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
এদিকে অটো চালক ইয়াসিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোরবানি ঈদ তাই আজকে ঈদের দিন একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে মানুষজন কোরবানির গোস্ত নিয়ে ব্যস্ত লোকজনের সংখ্যা আজকে একটু কম দেখা যাচ্ছে আগামী দুই তিন দিন লোকজনের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। স্থানীয় মজনুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন তিস্তা নদীর ধারে একেবারে গ্রাম্য পরিবেশে হলেও নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁক্কি পোহাতে হচ্ছেনা দর্শনার্থীদের, প্রতিবছর ঈদে হাতিবান্ধা ও ডিমলা থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ দর্শনার্থীদের নিরাপক্তা দিয়ে থাকেন।