
স্টাফ রিপোর্টার :
মোকদ্দমাঃ ধারা ৪০৬/৪২০ দঃ বিঃ বাদীর নালিশের বিবরণ এই যে, রানী একজন সহজ সরল বাংলাদেশের নাগরিক। অপরদিকে আসামীগণ আইন অমান্যকারী, বিশ্বাস ভঙ্গকারী, প্রতারক শ্রেণীর ব্যক্তি। ১নং আসামীর স্বামী ও ২নং আসামীর পিতা ৩নং আসামী সৌদি আরবে চাকুরী করে। আসামীগণের পরিবারের সহিত বাদীর দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। উক্ত সু-সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালীন সময়ে ১নং আসামী বাদীকে জানায় যে, বাদী যদি ১নং আসামীকে ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিতে পারে তাহলে সে তাহার স্বামী ৩নং আসামীর সহিত যোগাযোগ করিয়া আগামী ০১ মাসের মধ্যে সৌদি আরবে গিয়া ভাল চাকুরীর ব্যবস্থা করিয়া দিতে পারিব। এ বিষয়ে ১নং আসামী ৩নং আসামীর সহিতমোবাইল ফোনে যোগাযোগ করাইয়াদেন এবং ৩নং আসামী ও বাদীকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
বাদী :
মোঃ রাকিব হাসান। ৩৩)
পিতা- মোঃ আনসার আলী
আসামী :
১। নাজমুন্নাহার (৪০)
স্বামী। সোহেল হাওলাদার
১। রাবেয়া খাতুন
স্বামী- রাকিব হাসান
সার-গুড়াখালী
২। রাগিব রওনক (২১)
পিতা- সোহেল হাওলাদার
২। জিয়াউর মল্লিক
থানা- অভয়নগর
৩। সোহেল হাওলাদার (৪৫)
পিতা- হোসেন মল্লিক
জেলা, যশোর।
পিতা-কন্তুম আলী
৩। শরিফুল মল্লিক।
সর্ব সাং- রহিমনগর
পিতা- খালেক মল্লিক
সর্ব সাং- পুড়াখালী
থানা-রূপসা
ওমর আলী শেখ
জেলা- খুলনা।
পিতা। শুকুর শেখ
ঘটনাই তারা ০৭/০২/২০২৫ ইং, গুচেরার
নর্থ বেঙ্গল রোড
সময়ঃ বিকাল ৪ট্য অনুমান
ঘটনার স্থানঃ ৪নং সাক্ষীর বসৎ বাড়ী
সাং- নওয়াপাড়া, নর্থ বেঙ্গল রোড, খানা- অভয়নগর
জেলা-যশোর।
সর্ব ঘানা- অভয়নগর
জেলা- যশোর।
১নং ও অন্যান্য আসামীদের কথায় সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া গত ০২/০৬/২০২২ ইং তারিখে ১,২৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা, গত ০৩/০৭/২০২২ ইং তারিখে ১,৭৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা, গত ০৪/০৭/২০২২ ইং তারিখে ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। খুলনা শাখার ১নং আসামীর একাউন্ট নং- ৯৯০১১৮১১৫৯৩৮৯ নং হিসাবে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখা থেকে জমা প্রদান করে। বাদীর কাছে নগদ টাকা না থাকায় গত ২৬/৬/২০২২ ইং তারিখে বাদীর ব্যবহৃত ১০০ সি.সি বোড মার্সটার নামক মটর সাইকেলটি ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা মূল্য নির্ধারন করিয়া ২নং আসামীর নিকট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিক্রয় নামা করিয়া দেয়। ১নং আসামী জানায় বাকী ২৫,০০০/(পঁচিশ হাজার) টাকা সৌদি আরবে পৌছানোর পর দিতে হবে। আসামীগণের মাধ্যমে বাদী গত ৮/৭/২০২২ ইং তারিখে সৌদি আরব পৌছায় সৌদি আরবে পৌঁছাইয়া ৩নং আসামীর সহিত যোগাযোগ করিয়া সৌদি আরবের তায়েফে গিয়া ৩নং আসামীর সহিত বাদীর সাক্ষাত হয়। ৩নং আসামী তখন বাদীকে লইয়া ইয়াসেন বর্ডার অঞ্চলে লইয়া যায় একটি ঘরে ১৫ জনের সহিত বাসীকে রাখে এবং ৩নং আসামী জানায় যে, খুব দ্রুতই সে বাদীর চাকুরীর ব্যবস্থা করিয়া দেবে। উক্ত ঘরে ২০ (বিশ) দিন থাকার পর ৩নং আসামী বাকি ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা ১নং আসামীর একাউন্টে জমা দিতে বলে। আসামীর কথায় বিশ্বাস করিয়া বাদী ১নং সাক্ষীকে ১নং আসামীর একাউন্টে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা জমা দিতে বলিলে গত ০৪/০৮/২০২২ ইং তারিখে ১নং সাক্ষী ১নং আসামীর উপর উল্লেখিত একাউন্টে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা জমা প্রদান করে। বাদী উক্ত ঘরে ১ (এক) মাস থাকার পরও ৩নং আসামী বাদীকে কোন। চাকুরীর ব্যবস্থা করিয়া দেন নাই। উক্ত ঘরে বাদী অন্যান্যদের সহিত আলোচনা করিয়া বুঝিতে পারেন যে তাহারা সকলেই প্রতারনার শিকার হইয়াছে। এমতাবস্থায় গত ০৫/০১/২০২৩ ইং তারিখ।
মোঃ রানিত হাসান
মোঃ মাসুদুর রহমান
জশোর।
বাদী সৌদি আরব পুলিশ কে ঘটনা অবগত করিলে সৌদি পুলিশ বাদীকে হেফাজতে গ্রহন করে। ১১ দিন সৌদি কারাগারে থাকার পর রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থাপনায় সৌদি এয়ার লাইন্সে বাদীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। বাদী শুন্য হাতে দেশে ফিরিয়া স্বজনদের সহিত যোগাযোগ করিয়া বাড়ীতে ফিরিয়া আসে। বাড়ীতে ফিরিয়া ১ ও ২নং আসামীর সহিত যোগাযোগ করিয়া সকল ঘটনা জনাইয়া তাহার টাকা ফেরৎ চাইলে ১ ও ২নং আসামীওয় নানা রকম টালবাহনা করিতে থাকে এবং অজনা কাল বলিয়া ঘুরাইতে থাকে। একপর্যায়ে ১ ও ২নং আসামী জানায় যে, ৩নং আসামী দেশে ফিরিয়া আসিলে আসামীগণ বাদীর টাকা ফেরৎ প্রদান করিবে বলিয়া অঙ্গীকার করে। গত ০৫/০২/২০২৫ ই তারিখে বাদী জানিতে। পারে যে, ৩নং আসামী দেশে ফিরিয়া আসিয়াছে। উক্ত সংবাদ পাইয়া অরজি বর্ণিত ঘটনার তারিখ গত ০৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে বাদী ও ৪নং সাক্ষীর মাধ্যমে আরজি বর্ণি সকল আসামীদের আরজি বর্ণিঞ্চ ঘটনাস্থলে ডাকিয়া আনে। উক্ত ০৭/০২/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪.০০ টার সময় ৪নং সাক্ষীর বাড়ীতে আরজি বর্ণিত সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে বাসী তাহার পাওনা টাকা ফেরৎ চাহিলে আসামীগণ টকা বাদীর টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সাক্ষীগণ ঘটনা জানে এবং বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য দিয়া ঘটনা প্রমান করিবে। আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে বাদীর বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া কালীকারিখাস ভলকরিয়া প্রতারনা মূলক ভাবে বাদীর অর্থ আত্মসাৎ করিয়াছে। বানী যদি জানিতে পারিত ‘আসামীগণ তাহার বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া প্রতারনা করিয়া তাহার অর্থ আত্মসাৎ করিবে তাহলে বাদী কখনই আসামীদের কোন টাকা প্রদান করিত না। স্থানীয় ভাবে টাকা উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় মামলা করিতে বিলম্ব হইল।
সে কারন প্রার্থনা হুজুর দয়া প্রকাশে আরজিটি আমলে গ্রহন করে সু-বিচার করিতে মর্জি হয়।