
স্টাফ রিপোর্টার :
গালফ সিকিউরিটির সার্ভিসের নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের কম্পানি গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড যে আওয়ামী লীগের দোসর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার আসামি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে এই কোম্পানির সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোটকল অফিসার-১ মঞ্জিলা ফারুক এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিল। এই কোম্পানির সরকারিভাবে কালো তালিকা ভুক্ত। এই কোম্পানি আইসিটি অধিদপ্তরের কাজ না পাওয়ায় পুলিশ ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে তার কোম্পানি গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঞ্জিলা ফারুক সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোটোকল অফিসার-১ প্রমাণ করে কাজ নিয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতে বইও লিখেছেন।
এই কোম্পানি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ঢাকা দরপত্রে অংশগ্রহণ করে কলকারখানা অধিদপ্তরের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় সিপিটিইউ তে চিঠি লেখান কলকারখানা লাইসেন্স প্রয়োজন আছে কিনা আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের টেন্ডার এ এবং উক্ত সিপিটিইউ তে মঞ্জিলা ফারুক কে দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে লিখে আনেন আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের কাজে কলকারখানা অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রযোজ্য নহে। এক কথায় তার কাজ পাওয়াটা পুরোটাই শেখ হাসিনার কর্মকর্তাদের প্রভাব খাটিয়ে করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে তথ্য নিতে গেলেও কর্মকর্তারা তথ্য দিতে নাকচ। ১২ বছর ধরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দুই নম্বরি করে কিভাবে লোকবল দিচ্ছেন এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার এবং কারা এইগুলো চক্রের সাথে যুক্ত এদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। একজন দুর্নীতিবাজ দুর্নীতি মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর কিভাবে এগুলো এখনো সক্রিয় আছে এগুলো বিভিন্ন আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলো খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
তারা যেন এই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো তালিকাভুক্ত লাইসেন্স দিয়ে কোন প্রকার কার্যক্রম না করতে পারে সেই ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অন্যান্য কোম্পানিরা।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে না দেখলে অচিরেই আওয়ামী লীগের দোসররা বাংলাদেশে আবার এদের মাধ্যমে ফিরে আসার পাইতারা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।