
মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে জন্ম নেওয়া এক নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার আসমতপুর গ্রামের ফাতেমা আক্তার (২০) ও তার মা গোলাপি বেগম (৪৮)।
৩১ মে শনিবার দুপুরে পলাশবাড়ী থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টো।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসমতপুর গ্রামের মনজুর আলীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার সম্প্রতি বিয়ের বাইরে এক সন্তানের জন্ম দেন। ১৬ মে গাইবান্ধার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের পর সমাজের ভয়ে এবং ঘটনা গোপন রাখতে ফাতেমা আক্তার ও তার মা মিলে নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরবর্তীতে মরদেহ স্থানীয় বালিয়াগাড়ী বিলে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা মনজুর আলীও সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে স্থানীয়রা বিলে নবজাতকের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আসমতপুর গ্রামের শফিকুল মণ্ডলের ছেলে ইয়াসিন মণ্ডল বাদী হয়ে ফাতেমা আক্তার, তার মা গোলাপি বেগম ও বাবা মনজুর আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার ও তার মা গোলাপি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে, মামলার আরেক আসামি ফাতেমার বাবা মনজুর আলী এখনও পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, নবজাতকের প্রকৃত পিতৃপরিচয় এখনও নিশ্চিত হয়নি। সমাজের চাপ ও পরিবারের অস্বীকৃতির কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অধরাই থেকে গেছে। মানবিক কারণেই নবজাতকের পিতৃপরিচয় প্রকাশ হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।