
মোঃ আল আমিন :
ঢাকায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছে ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মোঃ নাজমুল হাসান পাপ্পু। পাপ্পু উত্তর কাকচিড়া বাদল মাস্টারের একমাত্র ছেলে। পাপ্পু বরগুনা দোলা নামের একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো। কিন্তু দোলা সৌদি প্রবাসী গাউস নামের এক যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো। পরকীয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশ ও প্রতিবেশিরা জানিয়েছে।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার পল্লবী থানার মিরপুর-১১ এর ডি ব্লকের সাবলেট বাসায় খুন হন। চার মাস আগে পাপ্পুর স্ত্রী এ রুমটি সাবলেট ভাড়া নেন।
কিছুমাস আগে গাউছ দেশে আসেন। বুধবার সকালে পাপ্পু যখন স্ত্রীসহ বাসায় ছিলেন তখন গাউছ হঠাৎ করে ছুরি হাতে বাসায় ঢুকে নৃশংসভাবে দুজনকেই খুন করে।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছে, দোলা চাকচিক্যময় জীবনযাপন করতো। তার কাছে আইফোন ছিলো যা পরকীয়া প্রেমিক গাউছের দেওয়া।
দেশে এসে গাউছ মিরপুরে বাসা নেয়। দোলা যে বিবাহিত তা গাউছ জানতো না। পাপ্পু বরগুনার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে বরগুনা থাকতো। মাঝে মাঝে ঢাকা যেত। গাউছ দেশে আসার পর পাপ্পু যখন বরগুনা থাকতো তখন দোলা গাউছের সাথে দেখা করতো। দুইদিন আগে পাপ্পু ঢাকায় আসে। বুধবার সকালে গাউছ, দোলা ও পাপ্পুকে একসাথে নাস্তা করতে দেখে তাদের অনুসরণ করতে থাকে। তারপর দোলা বিবাহিত তা জানতে পারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে দুজনকে হত্যা করে।
গাউছকে পল্লবী থানা পুলিশ আটক করেছে এবং সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।