
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায় হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও অন্য আসামিদের। এ সময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পেছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসে তোলা হয় তাদের। আসামিদের আইনজীবীরাও কাছে চলে আসেন। আসামিরা ওকালতনামায় সইসহ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কিছুক্ষণ পরই এজলাসে আসেন বিচারক। এ সময় এজলাসে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’
এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।’
এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘যেকোনও সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে, বোঝা শেষ।’
তারপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য ‘যেকোনও সময় ফাঁসির আদেশ’ এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’