
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরীতে কাটিং ড্রেজার লাগিয়ে ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানির অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে।মুক্তারপুর ব্রীজের পশ্চিশে ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানি নদীতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে। নদীতে লোড ড্রেজার স্থাপন করে একসাথে দুটি বাল্কহেড ভর্তি করে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে।এ কর্মযজ্ঞ এর জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। ১০ থেকে ১৫ হাজার ঘনফিট ধারণক্ষমতার বাল্কহেডে এ স্পট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫টি বাল্কহেড বালু বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ঘনফিট বালুর মূল্য ৪টাকা করে ধরা হলেও প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার বালু বিক্রি করা হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা যায়,কাটিং ড্রেজারের মাধ্যমে দুটি বাল্কহেড একসাথে লোড করা হচ্ছে।প্রতিটি বাল্কহেড লোড করতে প্রায় ২০-৩০ মিনিট সময় লাগছে। এছাড়াও লোড করা বাল্কহেডগুলোর পাশেই ছই ওয়ালা ছোট নৌকা দেখা গেছে। সূত্রে জানা যায়,এই ছই ওয়ালা নৌকার মাধ্যমেই প্রতিদিন টাকা কালেকশন করা হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ মঙ্গলবার সকালে সালমান নৌ- পরিবহন নামক বাল্কহেডের মাধ্যমে কমলাঘাট এলাকায় ৮ হাজার ঘন ফুট বালু আনলোড করতে দেখা যায়।সালমান নৌ পরিবহনের একাধিক কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর জাহাজ ভিড়ানোর জন্য আর্মির অবসরপ্রাপ্ত স্যার এবং ড্রেজার ও বাল্কহেড মালিক ইউনুসের ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু কাটা হচ্ছে। উত্তোলিত বালু বাল্কহেডে করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাল্কহেড ও ড্রেজার মালিক মোঃ ইউনুস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়িতে খবর নিয়ে দেখেন? এছাড়াও ক্রাউন সিমেন্ট বড় কোম্পানি তারা কোন দুই নাম্বারি কাজ করে না।অনুমতি নিয়েই ড্রেজার লাগানো হয়েছে।এ বিষয়ে ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানির প্রধান অফিস ঢাকায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথম বিষয়টি শোনেন এবং পরে কল দিচ্ছি বলে মোবাইল কেটে দেন। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নদী কাটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদোত্তর দিতে পারেন নাই এবং সোমবার পর্যন্ত কোন কাগজও দেখাতো পারে নাই।এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন,আমরা স্পটটি পরিদর্শন করেছি।আমাদেরকে আবেদনের কপি দেখানো হয়েছে।কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখায় নাই।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ,ঢাকা নির্বাহী প্রকৌশলী পুর এ.কে.এম আব্দুর রহমান বলেন,আমাদের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি নেওয়া হলে অবশ্যই বিষয়টি আমি অবগত থাকতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন,নদীতে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।