
আওয়ামী দোসর দুর্নীতির বরপুত্র নাজিম হাসান সাত্তার এখনও এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক :
এসএমই ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা মুখোশের আড়ালে আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িত। এসএমই জাতীয় পণ্য মেলার চূড়ান্ত হিসাব নিকেশে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তার মধ্য থেকে তিনি প্রায় এক কোটি টাকা নিজ পকেটে পুড়েছেন। এই কর্মকর্তা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসএমই ফাইন্যান্সিং করে থাকেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে যে সমস্ত সুবিধা নিয়ে থাকেন, তা আদায়ের জন্য একপর্যায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এবং তিনি পুলিশের নিকট গ্রেপ্তার হন ও চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। এছাড়া চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদুর রহমান যাদেরকে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেছেন, তাদেরকেসহ পূর্বের অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের বর্তমানে ফাউন্ডেশনে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও এই কর্মকর্তার আর্থিক দুর্নীতি সম্পৃক্ত। এছাড়া ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও মেলা আয়োজনের ভেন্ডরদের সাথে তার অবৈধ আর্থিক লেনদেন রয়েছে।
তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর ও ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে ফাউন্ডেশনে নিয়োগ দেওয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আওয়ামী লীগের দলীয় নিয়োগসহ বর্তমানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক পদেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ব্যক্তিকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছেন এই নাজিম হাসান ও তার সহযোগিরা।
পুরো এসএমই ফাউন্ডেশনকে নিজের কুক্ষিগত করে তিনি ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান থেকে পদোন্নতিও বাগিয়ে নিয়েছেন।
জুলাই ২০২৪ -এর প্রায় দুই হাজার শহীদের আত্মত্যাগের বাংলাদেশে, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর এই নাজিম হাসানের আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।