
চামাইরা বাবুর চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার কারণে অতিষ্ঠ কাফরুল থানার সাধারণ জনগন –
নিজস্ব প্রতিনিধি,২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
বাবু ওরফে চামাইরা বাবু নামে পরিচিত, তার অবস্থান কাফরুল থানার আওতাধীন, স্মরণিকা, হাজির গলি, ঝিলপাড় বিভিন্ন সময় তাকে পাওয়া যায়। এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত বলে তথ্যসূত্রে জানা যায়। তাকে ইন্ধন দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৬ নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক মিজান। বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা বাড়িওয়ালাদের কাছে মোবাইলে বা সরাসরি চাঁদা দাবি করে, না দিলে তাদেরকে নানাবিধ হুমকি দেয়। এমনই একজন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান আশিক তিনি বলেন,বাবু ওরফে চামাইরা ও তাদের সহযোগীরা আশিকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখে , না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। ৪-৫ দিন ধরে ফোনে এই দাবি করে আসছিল, পরবর্তীতে ০৯/০২/২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ৪ টা ৪০ মিনিটে যুবদলের অফিস থেকে অস্ত্রের মুখে ৮-১০ জন মিলে মোঃ আশিকুর রহমান আশিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। জিম্মি করে একটি কনস্ট্রাকশন কাজ করা বিল্ডিং এ নিয়ে হাত এবং চোখ বেঁধে নির্যাতন চালায়। গলায় রশি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝুলাই রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ থেকে দেড় ঘন্টা নির্যাতনের পর ভুক্তভোগীকে ঝিলপার মোস্তাকের রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুনরায় মারধর করা হয়। একপর্যায়ে চিল্লাচিল্লি শুনে যুবদলের নেতাকর্মীরা এবং এলাকাবাসী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এই ব্যাপারে কাফরুল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানায়। বর্তমান সরকার চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসায়ীকে জিরো টলারেন্স হিসাবে দেখছেন, এলাকার বিভিন্ন জনগণের কাছ থেকে তথ্য এবং ভিডিও রেকর্ড নিয়ে জানা যায় অত্র এলাকায় বাবু ওরফে চামাইরা বাবুর কারণে অতিষ্ট এলাকার মানুষ। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে মোঃ আলী হোসেন বাবু, সজল, আরিফ, তারা, লিমন, আতিক,লেবু বাবু, রাসেল, রাকিবরা। অনেকের নামে আগে থেকেই হত্যা এবং চাঁদাবাজি মামলা আছে বলে এলাকাবাসী জানায়। একজন ভুক্তভোগী দাবি করে বাবু ওরফে চামাইরা বাবুর নামে কাফরুল থানায় ২৯টা মামলা আছে ১৪ টা মামলার এখনো ওয়ারেন্ট আছে। এখনো সে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে, তাকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর দাবি করে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। কাফরুল থানার ওসি এবং সিটিএসবি কে জানানো হলে তারা আসামিদের এরেস্ট করার চেষ্টা চলছে বলে জানান।