
সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পলাতক পুলিশ কমকর্তারা!
👇
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে লাশ ফেলার মাস্টারমাইন্ড পলাতক পুলিশ কর্মকর্তারা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে অন্তবর্তীকালিন সরকারের বিরুদ্ধে নানা মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একই সাথে এ সব পুলিশ কর্মকর্তারা আড়ালে থেকে নানাভাবে পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সরকারের ছয় মাস হলেও ছাত্র-জনতার হত্যার সাথে জড়িত পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের জোর উদ্যোগ না থাকায় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এদের অন্যতম সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক ডিআইজি সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার ও প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ অনেকেই।
পলাতক থেকে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, নেপথ্যে থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই মোটা অংকের টাকা খরচ করে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঞ্চিত ও ত্যাগী পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সাজানো গল্প তৈরি করছেন পুলিশের মনোবল দুর্বল করতে। এদের উদ্দেশ্য পুলিশ বাহিনীর পেশাদার ও ত্যাগি কর্মকর্তারা ভেঙ্গে পড়লে বর্তমান সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে। দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিতেও প্রভাব পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপিসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত জাতীয়তাবাদ ও ইসলামপন্থীদের গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় ব্যাপকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। পুলিশে আওয়ামী সিন্ডিকেটের সহযোগীরা গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের সুবিধা ভাগিয়ে নিয়ে গোপনে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্যাক্রমের তথ্য ফাঁস ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে আগামীতে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ৩৪ জন পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।