
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সেনা সদস্যরা দেশের ক্রান্তিকালে দিনরাত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সামনে ডিফিকাল্ট (কঠিন) সময় পার করে দেশ ও জাতিকে নিরাপদ জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে চাই।’
গতকাল রবিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে।
দেশ ও জাতি এই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। দিনরাত সেনা সদস্যরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন কাজে আমরা নিয়োজিত আছি। ইউএন মিশনে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণেও কাজ করছি এবং আমরা পারদর্শিতা অর্জন করেছি।’
সামনে একটু কঠিন সময় পার করতে হবে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটা ভালো জায়গায় এবং নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সে জন্য আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ দেশের ক্রান্তিলগ্ন থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারব। একটি শান্তি-সুশৃঙ্খল ভবিষ্যতের দিকে যেতে সক্ষম হব।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমাদের পথিকৃৎ। শুধু মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেননি। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী যখন নতুন ছিল, সৃষ্টি সময় থেকে সেনাবাহিনীতে আপনারা (মুক্তিযোদ্ধা) অবদান রেখেছেন। আপনাদের অবদানের ফলে আমরা সেনাবাহিনী এখানে দাঁড়িয়ে আছি।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শান্তিকালীন বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচজন অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) ও ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) প্রাপ্ত মোট ২৮ জন সেনা সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা এবং শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সেনা সদর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য, তাদের নিকটাত্মীয়, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।