
গ্লোবাল লিগের শুরুটা ভালো হলো না রংপুর রাইডার্সের। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচেই হার দেখেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। নাটকীয় সুপার ওভারে রংপুর হেরে গেছে হ্যাম্পশায়ার হকসের বিপক্ষে।সমানে সমানে লড়াই বলতে যা বোঝায়, সেটাই হয়েছে আজ গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্স-হ্যাম্পশায়ার ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সুপার ওভারে রংপুর হেরে গেল হ্যাম্পশায়ারের কাছে।
জেতা ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। রংপুর রাইডার্স যেহেতু বাংলাদেশেরই ফ্র্যাঞ্চাইজি, তারা আবার আলাদা হতে যাবে কেন!
গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের অভিষেক ম্যাচটা হ্যাম্পশায়ার হকসকে একরকম উপহারই দিয়েছে রংপুর। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মূল ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়িয়েছে সুপার ওভারে। সেখানে রংপুরের দেওয়া ১৩ রানের লক্ষ্য ১ বল বাকি রেখে টপকে গেছে হ্যাম্পশায়ার।
রংপুরের হয়ে বল হাতে ঝলক দেখান ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেল। ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন চ্যাপেল, যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হারমিত সিং ২টি এবং বাংলাদেশের সাইফউদ্দিন ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।
আগে ব্যাট করে হ্যাম্পশায়ার সব কয়টি উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩২ রান। জবাবে রংপুরের ইনিংসও শেষ হয় সমান ১৩২ রানে। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ১২ রান করে রংপুর। যা ১ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে হ্যাম্পশায়ার।
গায়ানায় ম্যাচটা ছিল নাটকীয়তায় ভরা। রংপুরের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ যে সুপার ওভারে গড়াবে, সেটাই ছিল অলীক কল্পনা। তবে তাই হয়, ১৩২ রানের লক্ষ্যে ৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৫৬ রান তোলে রাইডার্সরা।
তবে এরপরই বাধে বিপত্তি। পরের বলে সৌম্য সরকার আউট হন ২০ বলে ২৭ রানে। কোনো রান যোগ হওয়ার আগে ফেরেন আফিফ হোসেনও (০)। জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান।
ওয়াইনে মাদসেনকে নিয়ে পরের ৪০ বলে যোগ করেন ৩৩ রান। যেখানে ২৩ বলে ২৪ রান সোহানের। এরপর খুশদিল শাহের সাথে ২৭ বলে ৩১ রান যোগ করেন মাদসেন। খুশদিল আউট হোন ২০ বলে ২৫ করে।
১৭ ওভারে ১২১ রানে ষষ্ঠ উইকেটটাও হারায় রংপুর। মাদসেন ফেরেন স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস খেলে, ২৬ বলে ১৫ রানে রান আউট হয়ে। তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ বলে মাত্র ১২ রান। জয়ের কথাই হয়তো ভাবছিল রংপুর।
তবে অবিশ্বাস্যভাবে এই সমীকরণ মেলাতে পারেননি রাইডার্স শিবির। শেখ মেহেদী এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হন ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে। হারমিত করেন ৫ বলে ৪ রান। শেষ পর্যন্ত শেষ বলে ২ রান নিয়ে প্রায় হারতে বসা ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান রিশাদ।