
টঙ্গীতে একটি বাসার সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ভাই-বোন গুরুতর দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর ভাই হাবিবুল্লাহ (১৯) মারা গেছেন। আহত বোন জান্নাতি হাবিবুল্লাহ (১৩) চিকিৎসাধীন। গতকাল রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে টঙ্গীর উত্তর আউচপাড়ার মোল্লাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর ভাই মারা যায়।
তাদের বাবা রুহুল আমিন টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার বাহের চর কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা। তারা টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিহতের ফুফু পপি আক্তার কালের কণ্ঠকে হাবিবুল্লাহ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে মোল্লাপাড়া এলাকার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সঞ্চিতা মতির চারতলা বাসার নিচতলায় সেফটি ট্যাংকিতে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসার ভাড়াটিয়া রুহুল আমিনের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (১৯) ও মেয়ে জান্নাতি হাবিবা (১৩) আহত হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, বাসার ফ্লোরের নিচে থাকা সেফটিক ট্যাংকে আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসাটির নিচতলার উত্তর-পূর্ব পাশের রুম ও ওয়াশরুম বিধ্বস্ত হয়।
এতে দগ্ধ হন তারা। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত হাবিবুল্লাহকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আহতের অবস্থা তেমন গুরুতর না হওয়ায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় হতাহতদের পিতা রুহুল আমিনের মোবাইলে ফোন করলে রুহুল আমিনের বোন পপি আক্তার ফোন রিসিভ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, গত রাতে হাবিবুল্লাহকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আমরা এখন লাশ নিয়ে টাঙ্গাইল গ্রামের বাড়িতে আছি।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।