
রাজিব হোসেন, শরণখোলা (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটের শরণখোলায় ইয়ুথ ফর দি সুন্দরবন সংগঠনের আয়োজনে ‘রিডিউসিং পলিউশন এন্ড ইম্প্রুভিং দি ইকোলজি অফ দি সুন্দরবন’ বিষয়ে এক শিক্ষন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলার অফিসার্স ক্লাবে রুপান্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইয়ুথ সদস্য ও সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত হয়। সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যানগ্রোভ বন, যা বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ গাছগুলি নদী এবং সমুদ্রের ঢেউ থেকে উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করে, যা বন্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সুন্দরবনকে দূষণমুক্ত রাখতে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। প্লাস্টিক ও পলিথিন সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পর্যটকদের দ্বারা অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিক ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণের ফলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার প্রতিনিধি রাজিব হোসেন বলেন, প্লাস্টিক এবং পলিথিন সহজে পচে না, ফলে বনের পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে থেকে যায়, যা দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। পর্যটকদের সচেতন করা এবং সুন্দরবনে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রুপান্তরের জেলা সমন্বয়কারী খন্দকার জিলানী হোসেন বলেন, সুন্দরবন প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয় এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। তিনি প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প ব্যবহারে উৎসাহিত করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আরকেডিএস বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক, শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন সুজন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ধনঞ্জয় মন্ডল ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল হাই। বক্তারা বলেন, সুন্দরবন হলো বাংলাদেশের একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, যা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।