
ক্রাইম রিপোর্টার :
মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দিতে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত সানা মাঝির (৪২) লাশ দাফন শেষে ফেরার পথে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাকহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষ বাবু মাঝির নেতৃত্বে লোকজন সানা মাঝিকে পিটিয়ে হত্যা করেন।পরে বাবু মাঝি তার ফেসবুক পেইজে ডাকাত হত্যার করা হয়েছে এমন একটি ভিডিও আপলোড করছেন।ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ওই দিন দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সানা মাঝি মধ্য মাকহাটি গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে।আর প্রতিপক্ষ বাবু মাঝি একই গ্রামের শামসুল মাঝির ছেলে।
শুক্রবার সানা মাঝি হত্যার ঘটনায় বাবু মাঝিকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সানা মাঝির ভাই মো:হাবু মাঝি। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন বাবু মাঝি, আল আমিন মাঝি,সাদ্দাম মাঝি, রমজান মাঝি,মুন্না মল্লিক,তপু মল্লিক,কাউসার,হিরণ মল্লিক, কামাল সরকার,আরিফ সরকার ও স্বাধীন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিহত লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে লাশ নেওয়া হয় মধ্য মাকহাটি গ্রামের বাড়িতে।বাদ যোহর জানাজা শেষে গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।দাফন শেষে বেলা ৩ টার দিকে কবরস্থান থেকে ফেরার পথে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের ওপর প্রতিপক্ষ ককটেল ছুড়তে থাকে।এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিহত সানার ছোট ভাই আসাদ মাঝি দাবি করেন,সেখানে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, স্বজনেরা লাশ দাফন শেষে কবরস্থান থেকে ফিরছিলেন। এ সময় তাঁদের পেছন থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে কবরস্থানের অদূরে জমিতে ওই ককটেল বিস্ফোরণ করে প্রতিপক্ষ।সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।