
বলিউড অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে একটা সময় চুটিয়ে হিন্দি ছবিতে কাজ করার পাশাপাশি বাংলা, তেলেগু, কন্নড় ছবিতেও কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের ছবিতেও। ওটিটিতেও দেখা গেছে তাকে। আর কতরকমের চরিত্রেই না অভিনয় করেছেন।
১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন চাঙ্কি পান্ডে। তবে আমির খান ও সালমান খানেরা বলিউডে আসার পর তাঁর ক্যারিয়ারে মন্দা শুরু হয়। একাধিক হিট সিনেমা দেওয়ার পরও ধীরে ধীরে কাজের সংকটে পড়তে থাকেন। যদিও ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ‘বিশ্বতমা’ ও ‘আঁখে’ সিনেমার মাধ্যমে সাময়িকভাবে ফিরে এসেছিলেন চাঙ্কি। কিন্তু সেই গতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হন। তখন তিনি বাংলাদেশে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে শুরু করেন।
গণমাধ্যম ব্রুটের সঙ্গে আলাপে চাঙ্কি পান্ডে সেই কঠিন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এই বড় বড় হিট সিনেমা দেওয়ার পর হঠাৎ করেই নিজেকে কাজছাড়া অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। আমি বহু নায়কের সমাহারের সিনেমা করছিলাম, কিন্তু তা আমাকে হতাশ করেনি। আমি শুধু বিভ্রান্ত ছিলাম যে এখানে কী ঘটল! তাই আমি বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে পাঁচ বছর দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
চাঙ্কি পান্ডে জানান, বাংলাদেশে কাজ করার সময়ই ১৯৯৮ সালে তিনি ভাবনাকে বিয়ে করেন। মজার ছলে বলেন, তাঁদের হানিমুনের অর্ধেক বাংলাদেশে কাটাতে হয়েছিল। কারণ তখন একটি সিনেমার কাজ শেষ করতে হয়েছিল। চাঙ্কি বলেন, ‘আসলে আমি ভাবনাকে নিয়ে হানিমুনের অর্ধেকটা বাংলাদেশে কাটিয়েছিলাম, কারণ সেই সময় আমাকে একটি সিনেমার কাজ শেষ করতে হয়েছিল। আমি মনে করি এমনকি অনন্যাও বাংলাদেশেই ভাবনার গর্ভে এসেছিল।’
ঘটনাটা ব্যাখ্যা করে চাঙ্কি পান্ডে বলেন, ভাবনা তাঁকে মনে করিয়ে দেন, বলিউডে কাজ চালিয়ে যেতে হলে মুম্বাইতে ফিরে আসতে হবে। কাজ খুঁজতে খুঁজতে সময় চলে যায়। একই সঙ্গে তাঁর পিতৃত্বের যাত্রা শুরু হয়। তিনি বলেন, মেয়েদের (সন্তান) আগমন তাঁর ক্যারিয়ারে একটি নতুন সূচনা নিয়ে আসে। ভাবনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় এমন এক সময়ে, যখন ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন।
চাঙ্কি পান্ডে ও ভাবনা পান্ডে ১৯৯৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একটি ডিস্কোতে প্রথম দেখা তাঁদের। সেখানে চাঙ্কি পান্ডে ভাবনার ফোন নম্বর মুখস্থ করে নেন। পরে তাঁদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও—চাঙ্কি মুম্বাইতে এবং ভাবনা দিল্লিতে—তাঁদের সম্পর্কে উষ্ণতা বাড়তেই থাকে।