
শিল্পকলায় গৌড়নাটের নাটক ‘রাজার নতুন জামা’ মঞ্চস্থ
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হলো গৌড়নাটের জনপ্রিয় নাটক ‘রাজার নতুন জামা’।
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকা।
শুক্রবার(৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো প্রয়োজনাটির দ্বাদশ মঞ্চায়ন।
ডেনমার্কের লেখক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন এই গল্পটি রচনা করেছিলেন ১৮ শতাব্দীতে।
বাংলা রূপান্তর করেছেন কবি আসাদ চৌধুরী। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নির্দেশক, নাট্যকার ও নাট্যভিনেতা আহাদ শুভ।
কোন এক রাজ্যের স্বেচ্ছাচারী রাজার প্রেক্ষাপট অবলম্বনে নাটকটি রচিত।
যুগে যুগে এমন শাসকের আবির্ভাব হয়েছে আবার তাদের পতনও হয়েছে। আমাদের দেশে জুলাই বিপ্লবেও এর বিকল্প নয়। নাটকটিতে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জুলাই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি ও সমসাময়িক সমাজব্যবস্থার চিত্র। যা নাটকের গভীরতা এবং বার্তাকে সমৃদ্ধ করেছে।
নাটকের কাহিনীতে উঠে এসেছে রাজার পোশাকপ্রীতি। প্রতিদিনই চাই তার নতুন পোশাক। রাজ্য গোল্লায় যাক। তাতে কিছু আসে-যায় না। চাই শুধু নিত্য নতুন পোশাক। রাজার এই অতি বিলাসিতার কাজে সহায়তা করেন কিছু চাটুকার রাজন্য বর্গ । মহারাজ যাতে জনসেবার কথা চিন্তা না করে কেবল নিজ স্বার্থ আর রাজদরবারে নিয়োজিত ব্যক্তিবগের কল্যাণের কথাই ভাবেন, সে ব্যাপারে বুদ্ধির পুরোটাই খরচ করেন এরা। ঘটনাক্রমে রাজার জন্মদিনের নতুন পোশাক তৈরির কথা শুনে এক চালাক তাঁতি হাজির হন রাজদরবারে। অযোগ্য রাজা আর তার ধুরন্ধর কিছু চাটুকার রাজন্য বর্গ আসল চেহারা অতি সূক্ষ্ম কৌশলে প্রজাদের সামনে উপস্থাপনের এই তো সুযোগ। বুদ্ধির জোরে তাঁতিরা রাজাকে তাদের তৈরি পোশাক পরতে রাজি করাতে সক্ষম হন। রাজার এই পোশাকই বলে দেবে রাজ্যের কারা যোগ্য আর কারা কারা অশুভ শক্তি। এমন অভিনব পদ্ধতির কথা শুনে রাজামশাই তো বেজায় খুশি। এমনই ভাবে নানা ঘটনার ঘনঘটার মধ্য দিয়ে এগুতে থাকে নাটকের কাহিনী।
হাস্য-রসাত্মক উপাদানের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্রে মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা রাঘববোয়াল আর তেলবাজ ব্যক্তিবর্গের চেহারা ফুটে ওঠে এতে। নাটকটিতে হাসির আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে রাজার অযোগ্যতার একটি চরম সত্য ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রেজাউল করিম, আহাদ শুভ, তারেকুল ইসলাম, আবু সায়েম, জাহিদ, নাজুমল হাসান, আশিক, মামুন, মুন্নি, মারুফা, সামিয়া, সাদিয়া, লামিয়া, সুমাইয়া, সুবর্না, রাইসা ও রোজসহ আরো অনেকে।
প্রযোজনাটিতে সহযোগিতা করে হাতিম গ্রুপ, বেবি বাজার শপ, ধানশালিক ষ্টুডিও, কমল মিডিয়া ও তেপান্তর ষ্টুডিও।