
সুমন খান:
রাজধানীর উত্তরা বিএনপির যেন অস্থিরতার শেষ নেই , যার যার মতন রাম রাজ্য এবং লুটপাট ,চাঁদাবাজি সহ! কায়েম করতেছেন বলেই অভিযোগ পওয়া গেছে কফিল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে। কে এই কফিল উদ্দিন , কফিল উদ্দিন তার সংগঠনের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। , শুধু তাই নয় তাদের বড় বড় নেতাদের মাথায় নুন রেখে বড়ই খাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলেই অনেকেই অভিযোগ করেন উত্তরাবাসীসহ এলাকার জনগণ।একের পর এক বহিষ্কার, বিভিন্ন রকমের সাজা, কমিটি বিলুপ্ত তারপরও উত্তরার বিএনপিতে নেই স্বস্তি।এরই মধ্যে বিএনপির জন্য মরার উপর খড়ার ঘা কফিল বাহিনী পাঁয়তারা চলছে।কফিল উদ্দিন আহমেদ এর সহচর এফ ইসলাম চঞ্চল ও জাহিদ মাস্টার বিভিন্ন ব্যবসায়িদের থেকে চাঁদা আদায় করছেন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। চাঁদা আদায় করে ক্ষান্ত হননি শুধু একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। কফিল বাহিনীর গঙ্গা বলেন উত্তরা সহ আমার আন্ডারে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ চলবে।সম্প্রতি উত্তরা জমজম টাওয়ারে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে।তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বিদেশে থাকার কারণে জমজম টাওয়ার কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জমজম টাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা কোন প্রকার চাঁদা দেব না প্রয়োজন হলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আমাদের চেয়ারম্যান দেশে ফেরা মাত্রই আমরা সঠিক ব্যবস্থা নেব বলে আশা করি।কফিল উদ্দিনের সহপাঠী জাহিদ মাস্টার ও চঞ্চল পুরো ঢাকা ১৮ আসনের হঠাৎ করে হত্যা কর্তা হয়ে গেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। দক্ষিণ খান পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার , এক ভুক্তভোগী সালাম খান অভিযোগ করে বলেন, জাহিদ মাস্টার আর চঞ্চল এলাকার যেকোনো বিচার বসিয়ে, বিচারে নামে যে পক্ষ বেশি টাকা দেবে, সেই পক্ষই সফল হয়ে যাবে এমন একটি প্রতারণার ফাঁদ পেতে আছে, অনেকেই প্রতারণার ফাঁদে দিশেহারা। উত্তর খানের ইয়াসিন মোল্লা বলেন, আমার ভাইয়ের ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করে দেবে বলে ১০০০০ টাকা নিয়েছে এখন ভোটার আইডি পাইনা, টাকাও পাই না, চাইলে উল্টা ধমক ও গাল মন্দ খেতে হয়। যদি এভাবেই অপকর্ম বেড়েই চলে বিএনপির মান-সম্মানও একটি সংগঠন দুই একজনের কারণে কুলুষিত হতে পারে বলেই অনেকেই মন্তব্য করেন। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন চাঁদাবাজি অন্যায়, অত্যাচার চলবে না বলেই তারেক জিয়া এমন একটি ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা তাদের সুযোগ এখন এই রাম রাজ্য কায়েম করার জন্য।উত্তরা ৪ নাম্বার সেক্টর এর শাহাবুদ্দিন রাজ্জাক বলেন, জমি জামার কাগজপত্র নয়, ছয় করাই তাদের মূল ব্যবসা। বিভিন্ন জায়গা দখল করা চাঁদাবাজি করা। আওয়ামী লীগ অত্যাচারে দিশেহারা ছিলেন উত্তরাবাসী, এই স্বরে চুরি আন্দোলনে স্বাধীন করেছে ছাত্রসমাজ ও সমন্বয়কারী, আসলে এই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে কেউ ঠিক মতন ব্যবসা-বাণিজ্য জাতি করতে পারেনি। শুধু একটি ব্যবসা করতে গেলেই লাগতো চাঁদা । এই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের তান্ডব থেকে উত্তরা স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ?নতুন বিপদ কাঁদেও নিয়ে এসেছে।উল্লেখ্য যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকার পালানোর পর কফিল উদ্দিন এর সহযোগিতায় মেয়র আতিক তার বাসায় আশ্রয় নেয়। পালানোর সময় কফিলউদ্দিনের গাড়ি ব্যবহার করে আতিক। সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর উপ সংসদ উপনির্বাচনে কফিল বাহিনীর তাণ্ডব উত্তরাবাসি দেখেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি কেন্দ্রীয় দপ্তর হয়ে লন্ডনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পর্যন্ত পৌঁছায়। তাই দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় দপ্তর কফিল বাহিনীর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় বলে উত্তরাবাসী জানান। সকল পেশার মানুষ বলেন আমরা অত্যাচার চাইনা দুর্নীতি চাই না আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ চাই।