
দেশজুড়ে দিনভর যে বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে তা শুক্রবার থেকে কমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টি থাকবে না এমন না, তবে কালকে থেকে কমে আসবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তির দিকে যাবে।
“কিন্তু গত কয়েকদিন যেমন গরম ছিল, এমন গরম পড়বে না আশা করছি।”
অক্টোবরের ১/২ তারিখের দিকে আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপের প্রভাবে দেশে বৃষ্টি ঝরছে। টানা দুইদিন থেমে থেমে ঝরা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে।
এছাড়া রাজশাহীতে ১০১, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৯০, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮৭, নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৮২, যশোরে ৭৭ ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ৭৫ মিলিমিটারসহ সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার আভাস এসেছে পূর্বাভাসে।