
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রাতের বেলায় এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্ত কাটানোর অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ঝড় উঠেছে বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। দারোয়ানের সাথে কথার কাটাকাটির ভিডিও ফুটেছে গুলো ফেইসবুকের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কানা ঘুসা।
এ ঘটনায় আফাজ উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন,আমার স্ত্রী অসুস্থ্য, তাকে দেখতে ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তাকে দারোয়ান বাঁধা দিলে সেখানে হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই, সেখানে গিয়ে শুনি চিল্লা চিল্লির শব্দ।দুই পক্ষই উত্তেজিত। আমি তাদেরকে বলি, তিনি
আমাদের নেত্রী। বিষয়টি হাসপাতালে দায়িত্বশীলদের জানানো হলো দারোয়ান ক্ষমা চায়।
ঝামেলা শেষে আমি আমার স্ত্রীর কাছে চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, এ গুলো আসলে নোংরা রাজনীতির অংশ।
এতো রাতে ঐ হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও কি ভাবে নারী নেত্রী প্রবেশ করলেন এ বিষয়ে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়,সন্ধ্যা ৬ টার পর ঐ হাসপাতালে কেউ ডুকতে পারে না।
প্রশ্ন উঠেছে
গত ৫ অক্টোবর রাত১০ টায় কি ভাবে মহিলা দলের নেত্রী হাসপাতালে প্রবেশ করে। কেনই বা এতো রাত পর্যন্ত সেখানে তিনি অবস্থান করেন।
অনেকেই বলছেন,বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন নিজেই মহিলা নেত্রীকে ডেকে এনেছেন।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়,গতকয়েক দিন যাবৎ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিনের সহধর্মিণী।
তাঁকে দেখতে গেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী রুনা লায়লা। জানাযায়, সেই নেত্রীকে দেখেই আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী বেহুশ হয়ে যায়।রূগি বেহুশ হওয়া পর লোক চক্ষু এড়াতে ঔ মহিলা নেত্রী তাড়াহুড়া করে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেইট দিয়ে নিচে নেমে আসে। নিচে আসতেই দারোয়ান ওনাকে এতো রাতে কোথা থেকে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি তাকে কথা না বাড়িয়ে গেইট খুলে দিতে বল্লে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাক বিতর্কের এমন কয়েকটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ছড়িয়ে পরে। ফেইসবুকে অনেকেই মন্তব্য করেছেন আফাজ উদ্দিনের সাথে তার দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, হাসপাতালে এসেও আফাজ উদ্দিনকে তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে সময় দিয়ে হাসপাতালের গোপন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন আফাজ উদ্দিনের মতো একজন মানুষ যদি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ও এমন অনৈতিক কার্যকলাপ করে, তাহলে অসহায় নারী সমাজ যাবে কোথায়?
বিষয়টি নিয়ে ঔ নারী নেত্রী বলেন, তিনি শুধু মাত্র রুগী দেখতে সেখানে গিয়েছেন।হাসপাতালের গেইটের তালা খুলার বিষয় দারোয়ানের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।তিনি আরো বলেন, আফাজ উদ্দিন ভাই একজন রাজনীতিবীদ, আমরা একসাথে রাজনীতি করি। আমি একজন নারী নেত্রী, আফাজ ভাইয়ের স্ত্রীর অসুস্থ্যতার কথা শুনে আমি নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে দেখতে যাই। সেখান গিয়ে দেখি ওনা স্ত্রীর অবস্থা খুবই গুরুতর। ওনার অবস্থা খারাপ দেখে আমি চলে আসি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, “আমি ঐ হাসপাতালের রাস্তা ঘাট চিনি না। ভুল করে অন্য গেইট দিয়ে নেমে গেছি। নিচে নেমে দারোয়ানকে গেইট খুলতে বল্লে তারা ঝামেলা বাঁধায়।” চিল্লা চিল্লি শুনে লোকজন জড়ো হয়। আমি নিজে ও ঘটনাটি ভিডিও করি।ঐ রাতেই দারোয়ান নিজের ভুল বুঝতে পেরে সকলের উপস্থিতিতে ক্ষমা চাইলে ঘটনাটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আফাজ উদ্দিন ভাই উত্তরাতে রাজনীতি করেন,সেখানে ওনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। আসল ঘটনা আপনারা লেখেন।