
শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) রাত ১০টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চরের লক্ষ্মী কান্দি এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার রাজ্জাক মাদবর সেনেরচর ইউনিয়নের আফাজদ্দিন মুন্সী কান্দি এলাকার মকিন মাদবরের ছেলে।
জানা যায়, গত ৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বাস্তুহারাদের জন্য সরকারি বাসস্থানে (গুচ্ছগ্রাম) শিশুটি বাড়ীর পাশে থাকা মুদি দোকানে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত রাজ্জাক মাদবর ওই শিশুকে একটি কেক নেয়ার জন্য তার ঘরের সামনে ডাকে। তখন কেক নিতে গেলে ওই শিশুর হাত ধরে টেনে ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে রাজ্জাক। এসময় তা দেখতে পায় প্রতিবেশী এক নারী। অনেক সময় পাড় হওয়ার পরও ওই শিশুকে ঘর থেকে বের হতে না দেখে ওই শিশুর পরিবার ও আশেপাশের লোকজনকে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ওই নারী। পরে আশেপাশে থাকা লোকজন ও ওই শিশুর বাবা মা রাজ্জাক মাদবরের ঘরে গিয়ে দেখতে পায় শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ও অভিযুক্ত রাজ্জাক মাদবরকে ওই ঘরে আটকে রাখে। কিন্তু শিশুটির বাবা তার শিশু মেয়ের সাথে এমন ঘটনা মেনে নিতে না পেরে ওই ঘরের দরজা খুলে অভিযুক্ত রাজ্জাককে মারধর করতে গেলে সেই সুযোগে রাজ্জাক উল্টো তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরেরদিন শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর গতকাল রাতে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত রাজ্জাক মাদবরকে শিবচর উপজেলার পাচ্চরের লক্ষ্মী কান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্ত রাজ্জাক মাদবর। শিশুটির মায়ের দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।