
সুমন খান :
রাজধানী মিরপুর বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা জাকারিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ঘুষ বাণিজ্যের খুঁটিনাটি:
জাকারিয়া অফিসে একটি নির্দিষ্ট চক্র গড়ে তুলেছেন, যেখানে দালালদের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস নবায়ন, এবং মালিকানা হস্তান্তরের মতো সাধারণ সেবা পেতে গেলে কর্মকর্তা জাকারিয়ার নির্দেশে চক্রটি ৫,০০০ থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করে।
আইন ও নীতিমালার চরম লঙ্ঘন:
সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা একজন রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্ব হলেও, জাকারিয়া নিজে ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব সেবাকে যেন একটি বাণিজ্যে পরিণত করেছেন। অফিস টাইমে তিনি অনেক সময় অনুপস্থিত থাকেন না , দালাল নিয়ে ভিতরে রেখে তালা মেরে চলে যান কাজ করার সুযোগ দেন এমনটাই সারে জমিনে গিয়ে দেখা যাচ্ছে। অথবা “ভিআইপি ফাইল” ছাড়া অন্য ফাইল এগোয় না। ভিতরে দালালকে কাজ করে রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে চলে যান।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:
অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার মিরপুর টোলার বাগে দুইটি ৫ তলা বাড়ি আছে তার গ্রামে বিশ একর জমি এবং তিন তলা একটি বাড়ি আছে। শুধু তাই নয় তার স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ের নামে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এমনটাই অভিযোগ করেন অনেকে, অনেকের সাংবাদিকরা তথ্য জানতে চাইলে কিভাবে এত অর্থ সম্পদ করছেন উনি ওই সাংবাদিককে , হুমকি ধামকি বিভিন্ন ফোনের মাধ্যমে তদবির করার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয় বড় বড় প্রিন্ট মিডিয়া ও লিকিং মিডিয়াকে ম্যানেজ করে রােন”সরকারি ফি জমা দেওয়ার পরেও কাজ করাতে ঘুষ দিতে হয়। আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। জাকারিয়ার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, তার ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়।”
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নীরবতা:
জাকারিয়ার এসব অনিয়মের বিষয়ে উপপরিচালক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করা হলেও তারা কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন, যা দুর্নীতিকে আরো উৎসাহ দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
দাবি ও সুপারিশ:
দ্রুত এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি বিআরটিএতে দালালমুক্ত ও ডিজিটাল সেবার বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।