
রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টি, কৃষকদের মুখে হাসি
আকতারুজ্জামান-তানোর, রাজশাহী :
রাজশাহী মহানগর এবং তার আশপাশের উপজেলায় দুই দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে ফসলের উন্নতিতে সহায়তা পাওয়া গেছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং ১২:৪০ মিনিটে কিছুক্ষণ থেমে যায়। এরপর পৌনে দুইটা থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলেছে।
গেল বুধবার এবং শুক্রবারের বৃষ্টিতে বোরো ধান, পাট, আম, লিচু সহ বিভিন্ন ফসল ভালো ফলনের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে। মাঠে থাকা বোরো ধানের জন্য এই বৃষ্টি বিশেষভাবে উপকারী হয়েছে। যদিও কিছু জলাবদ্ধতার কারণে কাটা ধানের কিছু অংশে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ধানের পাশাপাশি পাট, আম এবং লিচু ফসলেও ভালো প্রভাব পড়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতি বেশি না থাকায় বড় কোনো ক্ষতির আশঙ্কা হয়নি। ফলে এই বৃষ্টি ফসলের জন্য একধরনের আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তারেক আজিজ বলেন, “শুক্রবার রাজশাহীতে ৩১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল এবং সন্ধ্যায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ।”
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে গত বুধবার। ওইদিন রাত ৮:৪০ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে থেমে যায়। রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮৪ মিলিমিটার।
তানোর উপজেলার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, “আমার জমির বোরো ধানে এই বৃষ্টির কোনো ক্ষতি হয়নি কারণ ধানে মাত্র দানা উঠা শুরু হয়েছে। তবে যাদের জমিতে কাটা ধান ছিল, তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।”
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা জানান, “বৃষ্টির সময় ঝড় না থাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং পাট, আম ও লিচুর জন্য এই বৃষ্টি খুবই উপকারী। আউশ মৌসুম শুরু হওয়ায় আউশ ধান বপনের জন্যও এটি ভালো প্রভাব ফেলেছে।”