
ক্রাইম রিপোর্টার :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান বাজারের শ্রী শ্রী মা কালি র্দূগা মন্দরিরের জানালার পর্দায় আগুন ও দানবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান বাজারের উত্তর পাসে সারপট্টি এলাকায় অবস্থিত মন্দিরটিতে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজদিখান বাজারের শ্রী শ্রী মা কালি র্দূগা মন্দরিরের সেবায়েত বেনু বিশ্বাস বলেন, শনিবার সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখেন জানালার পর্দাগুলো পোড়া রয়েছে এবং দানবাক্সের তালা ভাঙা।দানবাক্সে থাকা ৩-৪ হাজার টাকার মতো নগদ
টাকা নিয়ে গেছে,এ বিষয়টি আমি মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ
সদস্যদের জানিয়েছি।
মন্দির কমিটির সভাপতি শুনীল চন্দ্র পাল বলেন,রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা মন্দিরের জানালার পর্দায় আগুন লাগায় এবং দানবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরোও বলেন,মন্দিরটি প্রায় দুই শতাব্দী আগে স্থাপিত হয়।এই মন্দির থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে একটি পুরনো মসজিদ রয়েছে,আমরা হিন্দু -মুসলিম উভয় সম্প্রদায় বহু বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান
পালন করে আসছি।এই অঞ্চলে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে।আমি চাই এ কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত থাকুক তাদের দ্রুত তদন্তের
মাধ্যমে বের করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানাই।
সিরাজদিখান বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, সিরাজদিখান বাজারে একটি মসজিদ ও একটি মন্দির রয়েছে।আমরা হিন্দু-মুসলমান সকলেই মিলেমিশে এখানে ব্যবসা করে আসছি।সবাই নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে,আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।কিন্তু সম্প্রতি কিছু দুর্বৃত্ত এই মন্দিরে অগ্নিসংযোগসহ
নানা ধরনের বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।আমি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই বিষয়ে আমি সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহোদয়কে অবহিত করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে,দ্রুত তদন্ত করে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত,তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি আরো
বলেন,সার পট্টি এলাকায় কিছু মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছে,যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহেদ আল মামুন বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মন্দিরে হালকা আগুন দেওয়া ও কিছু টাকা চুরি হয়েছে।এবিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দায়ীদের
শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।