
মুন্সীগঞ্জে সড়কের পাশে অবৈধ বালুর ব্যবসা,ভোগান্তিতে লাখো মানুষ
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর চরমশুরা এলাকার প্রধান সড়কের পাশে অবৈধভাবে সড়ক দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন সরকার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।যেটা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পরিচালনা করে আসছেন।এতে করে যেমন পরিবেশদূষণ হচ্ছে তেমনি দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
একদিকে ট্রাকে করে বালু নিয়ে যায় বাতাসের সঙ্গে বালু উড়ে চোখে-মুখে চলে আসে।এতে প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে। অন্যদিকে সড়কের পাশে যত্রতত্র বালু রাখায় স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে।এসব বালু মেঘনা নদী থেকে বাল্কহেড যোগে শাখা নদী হয়ে এখানে স্তুপ করা হয়। পরে সেই বালু চলে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্থানে।উত্তর চরমশুরা এলাকায় প্রধান সড়কের মোড়ে বালুর স্তূপ তৈরি করায় সেখানে যানবাহন চালক ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।ক্ষোভ ঝেড়ে অটো চালকরা জানান,প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করি,বালুর কারনে আমাদের বিভিন্ন সমসা হচ্ছে।গাড়ির ঢাকা স্লিপ করে, চোখে মুখে বালু প্রবেশ করে। যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়।বালুর ব্যবসা অন্যত্র সড়িয়ে নিলে আমাদের জন্য উপকার হবে।
ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এ ব্যবসা।এতে করে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধাসহ অনেক সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।উপজেলা মৎস অফিসের সহকারি তরিকুল ইসলাম জানান,পুরো রাস্তাটি বালুতে ভড়া,মোটরসাইকেল স্লিপ করে।প্রধান সড়কে কেন বালুর ব্যবসা করা হবে,সিএনজি চালক আল-মামুন বলেন,বালুর কারণে এ সড়কে চলাচল করা খুবই অসুবিধা হয়।যখন তখন বালু চোখে-মুখে আসে।এ ছাড়া ট্রাকে করে বালু নেওয়ার সময় চোখে বালু আসে।এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।বালুর ব্যবসা করছে ভালো কথা কিন্তু আমাদের সমস্যা করে কেন করতে হবে।মো:শাহিন নামের এক পথচরী বলেন,সরকারি সড়ক ব্যবহার করে বালুর ব্যবসা করছে,যা দুঃখজনক।সরকারি আদেশ কেউ মানছে না।সড়কের পাশে বালু রাখায় হাঁটাচলা করা খুব সমস্যা হয়।বিশেষ করে বাসাবাড়ি ও দোকানে বালু জমে যায়।এটি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের এক সহযোগী জানান,আপনারা সাংবাদিকরা আর কিছু পান না। আমরা অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছি।আপনারা পারলে কিছু করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান কে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও কোন উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় নি।