
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতলে ভর্তি অন্তঃসত্ত্বা নারী
মোঃ সুমন হোসেন,ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জ সদরে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের ঘটনার রেস না কাটতেই,এবার দুই গ্রুপের উত্তেজনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে আহত নারীকে উদ্ধার করে,মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহত নারীর স্বজনরা জানান,বৃহস্পতিবার মেঘনা নদীতে গোলাগুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার জের ধরে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি নৌ-ডাকাত কিবরিয়া মিজি ও কানা জহিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।পুলিশ জানায়,সকালে কিবরিয়া গ্রুপের সদস্য রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় কানা জহিরের ভাই শাহিন বেপারি সহ তার লোকজন।এসময় অতর্কিত গুলিতে আহত হন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী।আহত অবস্থায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকি আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ওই অন্তঃসত্তা নারীর, শরীরের ডান পাশে কোমড়ের নিচে গুলি ঢুকে অপর পাশ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় ওই নারী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন,মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শৈবাল বসাক।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীতে কিবরিয়া মিজি ও কানা জহির গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মুন্সীগঞ্জের কালিরচর ও চাঁদপুরের মতলব এলাকার দুইজন।এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় আরো একজন।পরে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসকরা।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালুমহালের নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন করার সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়।এ সময় নাহিদ (২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়।শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বেরু মোল্লাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।